জঙ্গিদের সঙ্গে মেধাবী ছাত্রদের সম্পর্ক অশনি সংকেত
ড. অজয় রায়
অনেক স্বনামধন্য পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়–য়া, মেধাবী ছাত্ররা আজ জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এটা বড় ধরনের এক উদ্বেগের ও উৎকন্ঠার ব্যাপার। আগে জঙ্গি বললে আমরা মনে করতাম কোনো কওমী মাদ্রাসার এতিম ও দরিদ্র ছাত্র। এখন কওমী মাদ্রাসা থেকেও আসে, জেনারেল মাদ্রাসা থেকেও আসছে। আবার যেসব ছেলেরা প্রাইভেট কলেজে পড়াশুনা করছে তাদেরকে জঙ্গিরা রিক্রুট করছে বিভিন্ন হামলায়। এসব ছাত্রের মধ্যে অনেকেই মেধাবী ছাত্রও রয়েছে। জঙ্গিদের সঙ্গে মেধাবী ছাত্রদের সম্পর্ক দেশের জন্য একটা অশনি সংকেত। যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আমাদের ইন্টেলিজেন্সের ব্যর্থতা রীতিমতো ছেলেখেলায় রুপান্তরিত হয়েছে। জঙ্গিদের হামলার খোঁজ-খবর তারা আগে থেকেই পায়, কিন্তু তারা কোনো প্রকার এ্যাকশন নিতে পারে না। ঘটনা ঘটে যায়, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মারা যায় তারপর এই অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পেয়ে থাকে। গুলশান হামলায় সরকারের ব্যর্থতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতাই চোখে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মূলত পুলিশে ভালো নিয়োগ হয় না। মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হয় না। নিয়োগ করা হয় দলীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অমেধাবী, অযোগ্য ব্যক্তিরা পুলিশে নানাভাবে নিয়োগ হয়ে থাকে। আবার অনেকে হয়তো, জঙ্গি মতাদর্শে বিশ্বাসী থাকতেও পারে। সবদিক মিলিয়ে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুব ভয়ানক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
পরিচিতি : শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা : জব্বার হোসে