পোলট্রির মুরগি কাড়ছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা!
ডেস্ক রিপোর্ট : তরতরিয়ে বেড়ে ওঠা বোধহয় একেই বলে! ‘চিক’ থেকে ‘চিকেন’ মাত্র কয়েক সপ্তাহেই। পুরুষ্টু ‘লেগ পিস’। আকর্ষণীয় বক্ষদেশ। তা ঝলসে তন্দুরি অথবা জিভ লকলক করা চিলি চিকেন। কিন্তু মুরগির এই অস্বাভাবিক বেড়ে ওঠা কোন জাদুকাঠির ছোঁয়ায়? কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?
ভারতীয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় মুরগির মাংস প্রেমীদের ঘুম কেড়ে নেয়ার মতো এক খবর জানা গেছে। সমীক্ষা বলছে, পোলট্রির মুরগি খেলে একাধিক অ্যাণ্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না আমাদের শরীরে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। মানবদেহে অ্যাণ্টিবায়োটিক প্রতিরোধ গড়ে ওঠার অর্থ এক কথায় সাংঘাতিক। ছোটখাটো শরীর খারাপের ক্ষেত্রে যেমন পেটের রোগ, গ্যাস, সর্দিকাশি বা কোনওরকম ইনফেকশনের ক্ষেত্রে অ্যাণ্টিবায়োটিক কাজ করবে না। মুরগির শরীরে প্রয়োগ করা অ্যাণ্টিবায়োটিক প্রতিনিয়ত নিতে নিতে শরীরে গড়ে ওঠে একরকমের প্রতিরোধ ক্ষমতা, যার কারণে বেশ কয়েক ধরনের অ্যাণ্টিবায়োটিক শরীরে কাজ করে না। ফলে অসুখ সারাতে উচ্চমাত্রার অ্যাণ্টিবায়োটিক প্রয়োগে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। এর কুপ্রভাব মারাত্মক। জানা গেছে, জন্মের পর ৩৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে মুরগির ওজন দাঁড়ায় মোটামুটি দুই কেজিতে। খাবার হিসাবে ভুট্টা, মাইলো, সয়াবিনের ব্যবহার প্রচলিত। তবে অভিযোগ, বাচ্চা মুরগি মাত্র পাঁচ সপ্তাহেই দু’কিলো ওজনের হয়ে যায়। এর কারণ খাদ্য হিসাবে তাদের দেওয়া হচ্ছে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম মেশানো ম্যাশ আর অ্যাণ্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।