ব্রিজের পাটাতন ভেঙে নদীতে
মো. জয়নুল আবেদীন, আমতলী (বরগুনা) : রোববার সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন চাওড়া নদীর উপর ৯১ মিটার দৈর্ঘ্য ডেবে যাওয়া আয়রন ব্রিজের মধ্যের পাটাতন ভেঙে নদীতে পরেছে। এতে তিন ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, চাওড়া নদীর উপর আমড়াগাছিয়া বাজার ও খেকুয়ানী খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি ব্রিজের দাবি ছিল। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী শাখা গুরুত্ব দেয়নি। এরপরে ২০০৩ সালে জনগণ ১৬৫ হাত দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। জনগণ পারাপার শুরু করে। ওই সময় একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীকে আয়রন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ ২০০৫ সালে ৯১ মিটার দৈর্ঘ্য আয়রন ব্রীজ নির্মাণ করায় গুলিশাখালী, কুকুয়া, চাওড়া ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগের যুগান্তরকারী পদক্ষেপ হয়। স্থানীয়রা জানান ব্রীজ নির্মাণের পরে রক্ষণাবেক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অতি সম্প্রতি একটি বালু বোঝাই কার্গো ব্রিজের নিচ থেকে যাওয়ার সময় লোহার পিলারে ধাক্কা লাগার পরে একটি অংশ ডেবে যায়। এ ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হয়নি।
অপরদিকে প্রতিদিন ইট, বালু ও চাল বোঝাই ট্রলি চলাচল করায় ব্রীজটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে রবিবার সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে মাঝের পাটাতন ভেঙ্গে নদীতে পরে গেছে। খেকুয়ানীর খবির মাতুব্বর জানান, মোরা ৪ জন ডাইব্বা যাওয়া পোলের উপর দিয়া যাওয়ার সময় ভাইঙ্গা পরে আল্লায় মোগ বাচাইছে।
আমড়াগাছিয়া বাজারের আবদুল লতিফ শিকদার জানান, ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়াতে তিন ইউনিয়নের জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে। গুলিশাখালী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবু তাহের মিয়া জানান গুলিশাখালী ইউনিয়নের জনগণকে যাতায়াতে দুর্ভোগের শেষ নেই । আমড়াগাছিয়া গ্রামের আলা উদ্দিন মিয়া জানান ঈদের পরে স্কুল-কলেজ খোলা হলে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া করতে বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান এড. নুরুল ইসলাম জানান খবর পেয়েছি ব্রিজ ভেঙ্গেছে। ঈদের পরে নির্মাণের জন্য চেষ্টা করবো।
আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান আগামী জুলাই মাসে নতুন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি আরো জানান, আশাকরি শীঘ্রই কাজ শুরু করতে পারবো।