সাজানো হচ্ছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো
মো. শাফায়েত হোসেন, বান্দরবান : পবিত্র ইদ উল ফিতরের টানা ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে পর্যটন শহর বান্দরবানে। পার্বত্য জেলা শহর এবং উপজেলাগুলোতে ছোট-বড় শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউজ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্রামাগারগুলো আগাম বুকিং হয়ে গেছে ভ্রমণপিপাসুদের পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপত্তাসহ সুযোগ সুবিধা দিতে।
পবিত্র রমজান মাস শেষে পবিত্র ইদ উল ফিতর আসছে। ৯ দিনের টানা সরকারি ছুটি। জেলা শহর, রুমা ও থানছি উপজেলার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউস ইতিমধ্যেই বুকিং হয়ে গেছে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বর্ষার সূচনাতেও সারাদেশসহ বিদেশি বিপুল পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা। কারণ এবার রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই সারাদেশ, খানিকটা শান্ত এবং মানুষের ক্ষোভও নেই। এবার ৯ দিনের টানা ছুটির সুবাদে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে বান্দরবানে, এখনও পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় ইদের আগে থেকেই পর্যটকদের আগমন ঘটবে। জেলা শহরের অদূরে মেঘলা পর্যটন হোটেলের পরিচালক হুমায়ুন কবির, হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল গ্রিনহিলের মালিক সিরাজুল ইসলাম, নতুন আবাসিক হোটেল পালকি’র পরিচালক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার এবং মো. শাফায়েত হোসেন জানিয়েছেন, তাদের হোটেলের কক্ষগুলো ইদ উল ফিতরের পরদিন থেকে টানা ১৫ দিন পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। পার্বত্য জেলা শহর এবং আশেপাশের প্রধান প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র, আধুনিক শৈলীসমৃদ্ধ ও স্থাপত্যে অবকাঠামোয় নির্মিত নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র, সোনালী রংয়ের বুদ্ধ ধাতু মন্দির, রামজাদি মন্দির, সেনানিবাসের শাপলা চত্বর, ২টি পুরানো রাজবাড়ি, শৈলপ্রপাত, মেঘলায় স্থাপিত ক্যাবলকার ও ২টি ঝলুন্ত সেতু এবং মিনি চিড়িয়াখান।
তাছাড়াও জেলার রুমা উপজেলায় রিজুক ঝর্ণা, বপাহাড়ের ভাজে ভাজে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর পাড়া/গ্রাম, কিংবদন্ডির বগালেক, ক্যাক্রাডং, তাজিংডং, রামজু পাহাড়, সেনাবাহিনী পরিচালিত আধুনিক স্থাপত্যের নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র, থানছির উজানে সাংগু নদীর বুকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা রাজাপাথর, রেমাক্রি ঝর্ণা ও নাফাকুম পর্যটন কেন্দ্র বিশেষ কারুকার্যে সাজানো হয়েছে। প্রতিবছরের মত এবারও ইদ উল ফিতরের টানাছুটি ও বন্ধে অবকাশ সময় কাটাতে সারাদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক জেলা শহরের আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেষ্টহাউসগুলোতে উঠেছে এবং অগ্রিম বুকিংও দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক এবং পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, ঈদের টানা বন্ধ ও ছুটিতে এবারও এ জেলায় কয়েক লাখ পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে। পর্যটকদের জন্য বিশেষ ট্যুর গাইডের ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যবস্থায় যাতে করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, পরিবহনের জন্যে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয়া হয় এবং আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলগুলোতে ন্যায্যমূল্য বা ভাড়া আদায় করা হয় সেই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।