লক্ষ্মীপুরে ৩৭ কি.মি. বেড়িবাঁধ নদীতে
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন। লক্ষ্মীপুরে মেঘনার অব্যাহত ভাঙনের মুখে রামগতি ও কমলনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ৩৭ কিলোমিটার নদী-গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে সদর উপজেলার ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের পাঁচটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রোয়ানুর মতো যে কোন দুর্যোগে মুহূর্তে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিতসহ বহু প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন মেঘনা উপকূলের বাসিন্দারা। এদিকে সংস্কার কাজের নামে সংশ্লিষ্টরা বাণিজ্য করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। তবে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী গাজী ইয়ার আলী তা অস্বীকার করে বলছেন টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ কিছু কাজ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
জানা গেছে, মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ বসবাস নিশ্চিত ও শহর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ (বন্যা বাঁধ) নির্মাণ করা হয়। যা সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়ন থেকে শুরু হয়ে মতির হাট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এবং কমলনগর থেকে রামগতি পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার বিস্তৃত। গত কয়েক বছর ধরে মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ৩৭ কিলোমিটার এলাকার বেড়িবাঁধ এখন পুরোটাই নদী-গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগতির আলেকজান্ডার থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান থাকলেও টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ নানা জটিলতায় কমলনগরসহ বাকি এলাকার বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হয়নি এখনো। এতে করে এ দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ এখন অরক্ষিত ও ঝূঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ্মীপুর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলী বলেন, কমলনগর ও রামগতি এলাকার ৩৭ কিলোমিটার বন্যা বাঁধের মধ্যে সাড়ে ৫ কিলোমিটার ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এছাড়া সাড়ে ৩১ কিলোমিটার বাঁধের জন্য ডেলটা প্লান প্রকল্পের অধীনে দেওয়া হয়েছে, যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার ১৩ কিলোমিটার বাাঁধের মধ্যে কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছে, আবার কিছু অংশ আগামী বাজেটের অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।