সুজন কৈরী : গুলশান হামলার আগাম কোনো তথ্য পুলিশের কাছে ছিল না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। এ বিষয়ে টুইটারে দেওয়া তথ্য সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, নিহতদের ৫ জনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দারা খুঁজছিল।
গতকাল রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলশান হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, গুলশান হামলার পেছনে কারা আছে সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ হামলার ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করা হবে। পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও একজনের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে এখনও প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়নি। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সার্বিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে জঙ্গি, দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আইজিপি বলেন, গুলশানে হামলাকারীরা সবাই জেএমবি সদস্য। তবে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সাথে তাদের যোগাযোগ থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা জেএমবি সদস্য। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ ধরনের হামলা যাতে না হয় তার বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। এ বিষয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই অপরাধীদের নামের তালিকা ছিল আমাদের কাছে। তারা বিভিন্ন সময় নাম পরিবর্তন করে অপরাধ কর্মকা- চালাতেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আলমগীর হোসেন ও প্রদীপ চন্দ্র দাস এবং মাইক্রোবাসচালক আব্দুর রাজ্জাক আহত হন। তারা ঢামেক হাসপাতালের ১০১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে গতকাল বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে গুলশান হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান আইজিপি। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানে হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলার তদন্ত করবে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটিটিসি)। হামলাকারীদের ছবি প্রকাশের বিষয়ে আইজিপি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন রেস্টুরেন্টের কর্মচারী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে হামলাকারী কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্পাদনা: এএইচ সুমন