যেভাবে হত্যা করা হয় জিম্মিদের
ইয়াছিন রানা : রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা (আইএস) যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা যেন আর বাংলাদেশে না ঘটে এবং এই প্রথম ঘটনাই যেন শেষ ঘটনা হয় এমন আকুতি করেছেন নিহতদের স্বজন ও বন্ধুরা।
গতকাল রোববার আর্টিজান বেকারির সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় নিহতদের স্বজনরা এমন কথা বলেন। বেকারিতে যাওয়ার মূল রাস্তার সামনে পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যারিকেড দিয়ে রাখলে সেখানে ফুল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানায় স্বজন ও বন্ধুরা।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসে ট্রান্সকম গ্রুপের এমডি সিমিন আমানের বন্ধু এহতেশাম হুদা বলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকের নাতি ফাইয়াজকে হত্যা করা হয়েছে। এতে তার মা ও পরিবার খুবই শোকাহত। ফাইয়াজের হাতে দুটি কাটা দাগ ও গলাকাটা ছিল। সম্ভবত মারার সময় সে প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। আমি আশা করি, সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় প্রত্যেক ছেলেই যেন সাহসী ভূমিকা পালন করে।
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তারকে ঘটনার কিছু অংশ বলেছেন, সে ডাক্তারের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা বিদেশি হত্যা করার জন্য কয়েকটি রেস্টুরেন্টে খোঁজ নিয়ে দেখে। বিদেশি না পেয়ে ৪র্থ রেস্তোরাঁ হিসেবে আর্টিজান বেকারিতে আসে। এসেই প্রথমে ইশরাতকে দুজন বিদেশির সাথে ডিনার করতে দেখে তাকে প্রথমেই গুলি করে হত্যা করে। এরপর অন্যদের একজনের সামনেই আরেক জনকে জবাই করে হত্যা করে। সৌভাগ্যবশত কুরআন পড়তে পারার জন্য একজন জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিহত ইশরাতের বন্ধু মনিকা চৌধুরী আসেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। তিনি বলেন, কোনো কিছু বলার ভাষা নেই আমার।
এছাড়া ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ইতালি এবং জাপানের দুই নাগরিক। এছাড়া ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আকু চৌধুরী, শিল্পী মনিরুজ্জামান। এদিকে, রেস্তোরাঁর আশপাশের বাড়িগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেউ বের হলে বা ঢুকলে তাকে যথেষ্ট তল্লাশি করা হচ্ছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি