গুলশান হামলায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ : ইইউ রাষ্ট্রদূত
সারোয়ার জাহান : ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশান, বনানী ও বারিধারার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু বলেন, গুলশানে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
গতকাল রোববার একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ফ্রান্স, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন ঘটনার নজির থাকলেও বাংলাদেশে এবারই প্রথম। তাই এতে স্তম্ভিত দেশবাসী। নড়েচড়ে বসেছে সরকারও। আর পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে বিদেশিরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু বলেন, ঢাকার ডিপ্লোমেটিক জোন গুলশান-বনানী ও বারিধারায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা শত ভাগ নিশ্চিত নয়। তাই পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। কারণ শুক্রবার যে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা কাটিয় উঠার মতো তাৎক্ষণিক উপায় দেখা যায়নি। ফলে চলতি সপ্তাহে পুলিশের সাথে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বৈঠক করে ইইউ-এর হেড কোয়ার্টারে পরিস্থিতির সার্বিক পর্যবেক্ষণ জানানো হবে। তার উপর ভিত্তি করেই আগামী দিনে পন্থা ঠিক করা হবে।
ঢাকার ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, সন্ত্রাস দমনে শুধু রাজনৈতিক একতা নয়, জাতীয় ঐক্যতার প্রয়োজন। কারণ এই পরিস্থিতিতে এদেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ অবস্থায় কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর বিকল্প নেই। তার আশঙ্কা এ ঘটনা প্রভাব ফেলবে বিদেশি বিনিয়োগের উপর।
তিনি আরও বলেন, গত বছর যখন তাবেলা সিজার খুন হয় তখন অনেক বিনিয়োগকারী তাদের তৃতীয়দেশের বিক্রেতাদের সাথে বৈঠক করত। এখন আর তাদের এই দেশে আনাই যাবে না। সন্ত্রাস দমন কোনো সহজ বিষয় না। আমরাও এর শিকার হয়েছি, ফলে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জঙ্গি বিষয়ে রাখঢাক না করে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এজন্য দরকারি সব সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানান আমরা সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তার আগে সরকারকে বুঝতে হবে এটি একদিনের সমস্যা না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সন্ত্রাসীরা কিন্তু সচ্ছল ঘরের সন্তান, তথা কথিত গরিব বা মাদরাসার ছাত্র না।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে খুব শিগগিরই ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ