চলে যাচ্ছে ইবাদতের সুবর্ণ সময়
আমিন ইকবাল : সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোৎকৃষ্ট মাস মাহে রমজান। রমজান হাজার মাসের সেরা। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস আমাদের থেকে বিদায় নিতে চলছে। কিন্তু আমরা কি এ মাসের পূর্ণ রহমত-বরকত অর্জন করতে পেরেছি? নিজের কৃত গোনাহ কি মাফ করাতে পেরেছি? নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল কিন্তু নিজের গোনাহ মাফ করতে পারেনি, তার মতো হতভাগা আর নেই।’ দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন মুফতি আবু সাঈদ জুবায়ের।
মুফতি আবু সাঈদ জুবায়ের বলেন, মাহে রমজান ইবাদতের বসন্তকাল। ইবাদতের এক লোভনীয় ও জমজমাট অফার নিয়ে প্রতিবছর মুমিনের দুয়ারে এসে হাজির হয় এই পবিত্র মাস। মহান রাব্বুল আলামিন এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। হাদিসের ভাষায়Ñ তা সত্তর গুণ করে দেওয়া হয়। ছোট-বড় প্রতিটি কাজের প্রতিদান সমহারে বৃদ্ধি পায়। মুমিন মাত্রই রমজানে অধিক ইবাদতে প্রয়াসী ও আগ্রহী হয়ে থাকেন। সবাই নিজ নিজ সাধ্যমতো ইবাদত করে থাকেন। এজন্যই তো রমজানের দিনে মসজিদগুলো কানায় কানায় ভরে উঠে, লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। সারা বছরেও যাদের মসজিদের চৌকাঠ মাড়ানোর সুযোগ হয়নি, রমজানে সারাদিন সিয়াম পালনের পরও ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে তারা ইশার নামাজসহ বিশ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ার মতো বিশাল কষ্ট স্বীকার করে থাকেন অনায়াসেই।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, বনি আদমের প্রতিটি আমলের প্রতিদান বহু গুণে বৃদ্ধি হতে থাকেÑ ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ এমনকি আল্লাহ চাইলে তার চেয়েও অনেক বেশি দেন। আর রোজার ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, রোজা আমারই জন্য আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, সওয়াব অর্জনের মহাসুযোগের মেয়াদ হাঁটি হাঁটি পা পা করে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। হাতেগোনা মাত্র কদিন বাদেই বিদায় নিতে যাচ্ছে রহমতের বাণী, মাগফিরাতের বার্তা আর নাজাতের ঘোষক পবিত্র মাহে রমজান। লোভনীয় অফার কখনই স্থায়ী হয় না। আর হলে এর মূল্যায়ন থাকে না। তাই রমজানের জমজমাট অফারও আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে যাবে। তাই ইচ্ছা না থাকলেও বলতে হয়Ñ ‘আল-বিদা মাহে রমজান।’ সম্পাদনা : সুমন ইসলাম