জাইকা প্রধান রোজায় হামলার আশঙ্কা করেছিলেন
কায়কোবাদ মিলন : জাপানের সাত নাগরিক গুলশান হত্যাকা-ে নিহত হন। এক জাপানি আহত অবস্থায় বেঁচে যান। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বিষয়টিকে চরম নিষ্ঠুরতা বলে উল্লেখ করেছেন।
টোকিওতে আবে সাংবাদিকদের বলেন, নিহতরা বাংলাদেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। এটা খুবই দু:খজনক ঘটনা। এ নির্দোষ মানুষগুলোকে চরম নিষ্ঠুরতার বলি হতে হলো।
নিহত জাপানিরা জাইকার অধীনে বাংলাদেশে কাজ করছিলেন। উন্নয়ন সংস্থা জাইকা বছরে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়ে থাকে। কারিগরি সহায়তায় দিয়ে থাকে ১.২ বিলিয়ন ডলার এবং ৮.৮ বিলিয়ন ডলার দেয় উন্নয়ন খাতে। এই ঋণ কম সুদে দেওয়া হয়। সূত্র : আশহাই শিম্বুন
আর্থিক মন্দার কারণে বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে রাশ টেনে ধরলেও জাপান তার বৈদেশিক অনুদান কমায়নি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে বৈদেশিক সহযোগিতার সুযোগ কমাতে চাননি। তিনি বরং তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। কেননা বিদেশে জাপানের ভূমিকাকে তিনি আরও সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী। এশিয়ায়ই অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার। এর পরই গুরুত্ব আফ্রিকার।
জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিছি কিটাওকা বলেছেন, বালাদেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তার কোম্পানি অত:পর তার কর্মীদের নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করবে। জাইকাপ্রধান রমজান মাসে হামলার আশঙ্কা করে সতর্ক করেছিলেন। বিশেষ করে অক্টোবরে উত্তরাঞ্চলে এক জাপানিকে হত্যার পর। কিটাওকা বলেন, গুলশানের আলোচ্য রেস্তোরাঁটিকে তিনি তুলনামূলক নিরাপদ মনে করেছিলেন।
অক্টোবরে নিহত জাপানি নাগরিক কোনিও হোশিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএএস। বাংলাদেশ সরকার বরাবরই আইএসের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করে আসছে।
জঙ্গিদের হাতে ২০১৫ সালে আরও দুজন জাপানি নিহত হন। যদিও তারা উন্নয়নকর্মী ছিলেন না। আইএস সিরিয়ায় দুজন জাপানি জিম্মিকে হত্যা করে। আইএস তাদের মুক্তির জন্য দুইশ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছিল। এ নিয়ে ব্যাপক দেন দরবার হলেও তা ব্যর্থ হলে ওই দুই জাপানিকে আইএস শিরোñেদ করে।
সিরিয়ায় ইয়সুদা নামে আরেক সাংবাদিক জুনে নিঁখোজ হয়। ধারণা করা হচ্ছে তাকে সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আটক করে । ২০১৫ সালে তিউনিশিয়ায় দুই জাপানি পর্যটককে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। তিন জাপানি এই সময় আহত হয়। আইএএস দায় স্বীকার করলেও অন্য কোনো গ্রুপ এর সাথে জড়িত বলে ধারণা করা হয়। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ