কক্সবাজারে গিয়ে সোজা নেমে পড়ুন সাগরে। তবে সাবধান নামার আগে চারিদিকটায় তাকিয়ে দেখুন। দেখবেন দুটো বড় বড় বাঁশের মাথায় পতাকা টানানো রয়েছে। এই পতাকার মাঝখানে আপনি গোসলে নামলে নিজেকে মোটামুটি নিরাপদ ভাবতে পারেন। বিচে ছাতার নিচে শুয়ে বসে সমুদ্র দেখার ব্যবস্থা আছে, ভাড়া ঘণ্টা ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা। তবে এখানেও সাবধান, আপনি হয়তো শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখছেন ওদিকে আপানার সাধের মোবাইল নিয়ে কেউ হাওয়া হয়ে গেল। চার-পাঁচজন ফেরিওয়ালা ঘিরে ধরলেই বুঝবেন বিপদ। অতএব সাবধান।
কোথায় ঘুরবেন?
কক্সবাজার খুবই ছোট শহর । দুদিন দেখলেই শেষ হয়ে যায়। তবুও যা দেখবেনÑ তা হলো হিমছড়ির উদ্ভিদ উদ্যান, ইনানী বিচ এর পাথর আর সূর্যাস্ত যাওয়া। আরও দেখতে পারেন রামু বৌদ্ধমন্দির।
হিমছড়ির উদ্ভিদ উদ্যান, ইনানী বিচ, রামু যেতে ভাড়া
এখানে ব্যাটারিচালিত একটি অটো রিকশা চলে স্থানীয় ভাষায় একে ‘টমটম’ বলে। সর্বত্র এই টমটম পাওয়া যায়। টুরিস্ট বুঝলে ভাড়া চায় চারগুণ। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি ইনানী বিচের ভাড়া ৩০০ টাকার বেশি নয় সেটা রিজার্ভ গেলে। এমনিতে শেয়ার করে যাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছেÑ সে ক্ষেত্রে ভাড়া পড়ে জনপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
কি কিনবেন? কোথায় কিনবেন?
পুরো কক্সবাজারই যেন একটি মার্কেট। এখানে সেখানে সব পাওয়া যায়। তবে আপনাকে সাবধান থাকতে হবে। নকল জিনিসের ছড়াছড়ি সর্বত্র। ঢাকার চক বাজার থেকেও অনেক জিনিস এখানে এনে বার্মিজ বলে বিক্রি করা হয়। কেনা কাটার জন্য যাবেন, বার্মিজ মার্কেট। এখানে গেলেই সব পাওয়া যাবে। তবে দাম চাইবে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। সুতরাং দাম যাই চাক না কেন আপনি তার দাম অর্ধেক বলুন। না হয় আর একটু বাড়ান পেয়ে যাবেন।
সতর্কতা
ট্যুরের শুরুতেই সর্দি জ্বর এর জন্য নাপা, খাবার স্যালাইন সঙ্গে নিয়ে যাবেন। কেননা কক্সবাজারে ওষুধের দোকান খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। বাচ্চাদের চোখে চোখে রাখুন। অপরিচিত কারও দেওয়া কিছু খাবেন না যেন।