নিজেকে সুন্দর পরিপাটি রাখতে চাইলে যতেœর বিকল্প নেই। তবে যতœ একদিনের বিষয় নয়, যতœ একটি প্রক্রিয়া। আপনাকে নিজের যতেœ নিয়মিত পরিচর্যায় থাকতে হবে। সেইসঙ্গে ঋতুর বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এখনও গরমের তেজ কমেনি। এ সময়ে আমাদের ত্বকের ও চুলের যতœ নিতে হবে দুভাবেÑ ভিতর থেকে পুষ্টি যোগাতে হবে এবং বাইরে থেকেও এর পরিপূর্ণ পরিচর্যা করতে হবে। গরমের দিনগুলোতে যেহেতু একটু-আধটু ঘামের সমস্যা সবারই হয়, তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন দুবার গোসল করতে। এতে করে শরীরে ঘামের কারণে দুর্গন্ধও কম হয়। তবে অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকলে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। আট ঘণ্টার গভীর এবং পরিপূর্ণ ঘুম শেষে সকালে জেগে উঠুন খানিকটা সময় হাতে রেখে।
আপনি যদি নিজেকে দীর্ঘদিন ধরে সুস্থ, সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে চান, আপনাকে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে। যেমন আমরা যদি ত্বক চর্চার কথা বলি এর মূল নিয়মের মধ্যে পড়ে ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। এ তিনটি বিষয়েই আপনাকে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী পণ্য বেছে নিতে হবে। আরও একটা বিষয় এখানে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন, আর তা হলো ত্বককে এক্সফোলিয়েট করা। এক্সফোলিয়েশন হলো মরা চামড়ার কোষ অপসারণের একটি পদ্ধতি। সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েশন করা যায়। ত্বক চর্চার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ময়েশ্চারাইজিং করা। আপনার ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন আপনাকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজারে অবস্থিত ভিটামিন ই’র হিউমেকট্যান্ট আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকে আটকে দেয় এবং একে বাষ্পীভূত হয়ে শুষ্ক হয়ে যেতে দেয় না। এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সানস্ক্রিন। সানস্ক্রিন নেওয়ার সময় খেয়াল রাখুন এতে যেন ইউভি এ এবং ইউভি বি দুই ধরনের সুরক্ষাই বিদ্যমান থাকে।
চুলের যত
শ্যাম্পু করার পর চুলকে সঠিক পদ্ধতিতে কন্ডিশনিং করা প্রয়োজন। এতে করে চুলে ময়েশ্চারের ঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে এবং চুল হবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে। এই গরমে চুলের প্রধান শত্রু হচ্ছে সূর্য এবং বাতাসের আর্দ্রতা, যা চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যার জন্য চুলের আগা খুব দ্রুত ফেটে যাচ্ছে, চুল হয়ে যাচ্ছে রুক্ষ এবং দুর্বল।
সম্ভব হলে দু’বার গোসল করুন। যথাযথ চর্চার অভাবে খুশকির পরিমাণ বেড়ে গেলে চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে। মাথায় যদি খুব ঘাম এবং খুশকির সমস্যা থাকে, শ্যাম্পু শেষে এক চামচ কর্পুর এক কাপ পানিতে মিলিয়ে মাথার ত্বকে এই পানি ঢেলে নিন এবং চেপে চেপে মুছে আঁচড়ে ফেলুন। এতে করে চুলের দুর্গন্ধ দূর হয়ে খুশকির সমস্যা কমবে। এরপর কন্ডিশন করুন, অবশ্য আপনি লিভ-ইন কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, পারতপক্ষে ভেজা চুল কখনোই আঁচড়াবেন না বা বাঁধবেন না। প্রথমেই চেষ্টা করবেন চুলের পানি তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলতে; রোদে বা হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাসে চুল শুকাবেন না। অফিস থেকে ফিরে হালকা গোসল করে নিলে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি অনেকটা দূর হয়ে যাবে। চুলের স্বাস্থ্যকে অক্ষুণœ রাখতে প্রতিমাসে একবার বা দুবার প্রফেশনাল হাতে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাবেন।
হ শরিফুল ইসলাম