কাঁদলেন আইজিপি
সুজন কৈরী : রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে গুলশান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে কেঁদেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপি এক শোকসভার আয়োজন করে।
এ সময় সেদিনের ঘটনা তুলে ধরে এ কে এম শহীদুল হক বলেন, গুলশানের ঘটনায় এসি রবিউল ও সালাহউদ্দিনকে দেখতে ইউনাইটেড হাসপাতালে যাই। গিয়ে শুনি সালাহউদ্দিন মারা গেছে। পাশের রুমেই ছিল রবিউল। ডাক্তারদের বললাম যতো ডাক্তার আছে ডাকেন। রবিউলকে বাঁচাতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানালাম। কথা শেষ হতেই শুনতে পাই রবিউলও চলে গেল-বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আইজিপি। পুলিশ প্রধানের কান্নায় রাজারবাগ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত শোকসভায় পুরো হলরুমে নীরবতা ভেঙে যায়। শুরু হয়ে যায় নীরব আহাজারি। এ সময় অন্যান্য পুলিশ সদস্যদেরও চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে।
আইজিপি বলেন, খবর পেয়ে আমি যখন গুলশানে যাই, তখন ডিএমপি কমিশনার বললেন স্যার আপনি আসবেন না। এখানে (গুলশান) যুদ্ধাবস্থা। আপনি থানায় যান। আমি গুলশান থানায় ফিরে আসি। কিন্তু থানায় বড় ওয়ারলেস সিস্টেম না পেয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চলে যাই। সেখানে গিয়ে শুনি সালাহউদ্দিন মারা গেছে। প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম। তিনি ধমক দিয়ে বললেন, রবিউলসহ অন্য সবাইকে সামরিক হাসপাতালে নেয়ার জন্য। কথার ফাঁকেই শুনি রবিউলও মারা গেছে। ওই সময় নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না। অভিভাবক হিসেবে সন্তানের মৃত্যু দেখা সত্যি কষ্টকর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আইজিপি বলেন, যত দিন বেঁচে থাকবো ততদিন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে রবিউল ও সালাহউদ্দিনের পাশে থাকবে পুরো পুলিশ বাহিনী। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম