কীর্তনখোলায় লঞ্চ-স্টিমার সংঘর্ষে নিহত ৬, সুরভীর রুট পারমিট স্থগিত
বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল সদর উপজেলায় কীর্তনখোলা নদীর চরবাড়িয়া এলাকায় সুরভী-৭ লঞ্চের সঙ্গে পিএস মাসুদ নামে একটি স্টিমারের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ যাত্রী। এ ঘটনায় লঞ্চের রুট পারমিট সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক বলেন, দুর্ঘটনার জন্য সুরভি-৭ দায়ী বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হওয়ায় এর রুট পারমিট সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সুরভী-৭ লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না। স্টিমারটি যাত্রীবোঝাই ছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ জানায়, রোববার রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসা সুরভী-৭ লঞ্চটি বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রী নামিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বরিশাল নৌবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কীর্তনখোলা নদীর চরবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা থেকে আসা পিএস মাসুদ নামে একটি স্টিমারের সঙ্গে লঞ্চটির সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্টিমারের ডেকে থাকা একজন যাত্রী নিহত হন। সংঘর্ষে স্টিমারের বাম পাশের প্যাডেল (পাখা) ভেঙে কেবিনের মধ্যে ঢুকে যায়। এতে কেবিনে থাকা চারজন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী। তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার পরপর বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তারা যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালান।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুরভী-৭ লঞ্চটি সংকেত না মানার কারণেই স্টিমারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। স্টিমারের প্যাডেল ভেঙে বিকল হয়ে গেছে। চারটি কেবিন বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। সুরভী লঞ্চের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নিহত যাত্রীদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা