ঈদ মানুষের আনন্দময় সত্ত্বার জাগরণ ঘটায়: খালেদা জিয়া
কিরণ সেখ : ঈদকে সামনে রেখে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির জুলুম সত্ত্বেও ঈদের উৎসব মানুষের মধ্যে আনন্দময় সত্ত্বার জাগরণ ঘটায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির জুলুম, সন্ত্রাসের নানা ডালপালা ও জিনিসপত্রের অভিঘাত সত্ত্বেও ঈদ আমাদের জাতীয় জীবনে সংস্কৃতির দ্যোতক, আবহমান কাল থেকে শুভেচ্ছা এবং আনন্দের আদান-প্রদান।
গতকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। উৎসব মানুষের আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে। ঈদুল ফিতরের উৎসবে সমাজের সকল ভেদরেখা ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায় ও সৃষ্টি করে পরস্পরের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছাবোধ।
তিনি বলেন, ঈদ ধনী-গরিব ও উঁচু-নিচু নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক কাতারে দাঁড় করায়। হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ ও তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক স্বর্গীয় শান্তি এবং সম্প্রীতির চেতনা দান করে ঈদুল ফিতরের উৎসব। তাই আজকের এই উৎসবের দিনে প্রতিটি মুসলমান নর-নারী সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্যদিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌঁছে দেয় তা হচ্ছেÑ ‘সকলের তরে সকলে আমরা’। এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায় ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিঢ় ভ্রাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের দিনে আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে মুনাজাত করি, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে শুভেচ্ছা ও ঈদ মুবারক জানান বেগম জিয়া। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম