ডেস্ক রিপোর্ট
চাণক্য বন্ধু ও শত্রুর ভেদকে চিহ্নিত করার উপায় বাৎলেছিলেন। সেই সঙ্গে এও বলেছিলেন, কীভাবে চিনতে হয় প্রকৃত বন্ধুকে। এই পদ্ধতির সবথেকে গুরুপূর্ণ দিকটি হলো, কে প্রকৃত বন্ধু আর কে মেকি মিত্র, সেটা নির্ণয় করা।
ভারতীয় গণমানুষের প্রতিচ্ছবি হিসেবে যদি চাণক্য-নীতিকে ধরা হয়, তবে নিঃসন্দেহে তা এক সামূহিক স্মৃতির কথা বলে। এই স্মৃতি এই উপমহাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই স্মৃতিই আমাদের কর্তব্য-অকর্তব্যের দিশারী হয়ে দাঁড়ায় কখনও কখনও। তাকে চাণক্য-নীতির মতো আপ্তবাক্যের স্তরে নিয়ে যায় গণচৈতন্যই। চাণক্য যদি এই কথাগুলো নাও বলে থাকেন, তাহলেও কিছু যায় আসে না। এই ‘চাণক্য’ আসলে ইতিহাসের নিজস্ব কণ্ঠস্বর। প্রকৃত বন্ধুর সবথেকে বড় লক্ষণ হলো, তার স্বার্থহীনতা। লক্ষ্য রাখতে হবে, বন্ধু হিসেবে সে কতটা আত্মত্যাগপ্রবণ। লক্ষ্য রাখতে হবে, সে সকলের প্রতিই সমান যতœশীল কি না। এমন মানুষকে নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করা চলে। লক্ষ্য রাখুন, আপনার বন্ধু কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কোনও কিছু না জেনেই মতামত তৈরি করে ফেলেন কি না। লক্ষ্য করতে হবে, তিনি তার মতামত দ্রুত বদলে ফেলেন কি না। এবং এই মতামত কতটা সঠিক সেটা বিচার করে দেখতে হবে। সহজে মত বদলান, এমন বন্ধু থেকে সাবধান থাকাটাই শ্রেয়।
জানার চেষ্টা করুন, আপনার বন্ধু কাদের সঙ্গে সময় কাটান। একজন মানুষের সঙ্গই তার চরিত্রের আয়না। এ-ও লক্ষ্য করতে হবে, যাদের সঙ্গে সেই ব্যক্তি সময় কাটান, তাদের অনুপস্থিতিতে তিনি তাদের সম্পর্কে কী মন্তব্য করেন। যদি তা সদর্থক হয়, তাহলে বুঝতে হবে তিনি বিশ্বাসযোগ্য।
লক্ষ্য রাখতে হবে, বন্ধুটি বাক-সংযমী কি না। আত্মবিজ্ঞাপনকারী ব্যক্তি থেকে দূরে থাকাটাই কর্তব্য।