আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় জঙ্গি হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস দমনে একসাথে কাজ করবে ভারত ও জাপান। একই সাথে গুলশান ট্রাজেডি মোকাবিলায় দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ আন্তর্জাতিক মহলকে সহযোগিতা করবে। বিডিনিউজ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে পনের মিনিটের এক টেলিফোন আলাপে এ আশা ব্যক্ত করেন। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, গুলশানে জঙ্গি হামলায় ভারতের এক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় শিনজো আবে দুঃখ প্রকাশ করেন। নরেন্দ্র মোদিও জাপানের নিহত সাত নাগরিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। ঢাকার সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তারা। দুই নেতাই এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা নিয়ে একসাথে কাজ করবেন। একই সাথে দুই দেশের সন্ত্রাস দমনবিষয়ক তথ্যের আদান প্রদান করবেন বলে টেলিফোন আলাপে উঠে আসে।
গেল শুক্রবার ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। পরে সেখান থেকে ২০ জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, যাদের ১৭ জন বিদেশি নাগরিক বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। হামলায় জাপানের সাত নাগরিক ছাড়াও ইতালির নয়জন, ভারতের একজন এবং বাংলাদেশের তিনজন নিহত হন। আবে-মোদির টেলিফোন আলাপে দক্ষিণ এশিয়ায় যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাস দমনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেন। নিরাপত্তা বিষয় নিশ্চিত করে, শিনজো আবে ওভারসিজ ডেভেলাপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্ট (ওডিএ) প্রকল্প সচল রাখার কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা। বুধবার সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা এক বিবৃতিতে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ