আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় উপমহাদেশে যৌতুকের কারণে অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, প্রাণও দিতে হয়েছে অনেকে। মেয়েকে বিয়ে দিতে গেলে মোটা অঙ্কের যৌতুক গুণতে হয় বাবাকে। তবে ভারতের রাজস্থানে একটি ব্যতিক্রমী নজির স্থাপন করেছেন এক মেয়ের বাবা। রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোটা জেলার ঢাকারখেরি গ্রামের একটি বিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ঐ বিয়েতে প্রচুর অর্থ খরচ করা হলেও যৌতুক হিসেবে বরকে একটি নিমগাছ দিয়েছে কনের বাবা। সূত্র জানিয়েছে, কনের বাবা বরকে বলেছে, মেয়ে এবং একটি নিমগাছ ছাড়া তার দেয়ার মতো কিছু নেই। দুইজনার যতœ নিতে বরপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি। বরপক্ষের লোক এটা জানতে পেরে খুশিই হয়েছে।
কনে শকুন্তলা কাবরা নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকারের বিভিন্ন স্কিমের ফরম পূরণ করতে আমি গ্রামবাসীকে সহায়তা করি। যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। আর আমি এর ঘোর বিরোধী। আমার বাবার যৌতুক হিসেবে একটি নিমগাছ দেয়ায় আমি গর্বিত। যৌতুকের কারণে নারীদের যেখানে নির্যাতনের শিকার হতে হয়, সেখানে এর মাধ্যমে সমাজকে একটি বার্তা দেয়া হয়েছে। ভীলওয়ারা জেলার লাদপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণকে বিয়ে করেছেন শকুন্তলা। তার বাবা একটি ফার্ম হাউজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।
শকুন্তলা বলেছেন, বিয়েতে ট্রাকে করে ৭০ জন বরযাত্রী এসছিল। আমার বাবা আগে তাদের বলে দিয়েছিল যৌতুক হিসেবে একটি নিমগাছ ছাড়া তার দেয়ার কিছু নেই।