জঙ্গি দমনে যতটা প্রয়োজন সরকার ততটাই কঠোর হবে : প্রধানমন্ত্রী
দীপক চৌধুরী : জঙ্গি দমন করতে যতটা প্রয়োজন, সরকার ততটাই কঠোর হবে। এক্ষেত্রে কারো সমালোচনা শোনা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে জঙ্গি দমনে সরকারের কঠোরতর অবস্থান গ্রহণের কথা উল্লেখ করার সময় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গিরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। সতর্ক থাকার পরও এ ধরনের ঘটনা ঘটায় একে দুঃখজনক বলে মনে করেন তিনি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বীজ বপন করে গেছে। এই জঙ্গি সন্ত্রাস দূর করতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু সরকার তা নির্মূল করতে সবকিছুই করবে। গোয়েন্দা সংস্থা জঙ্গিদের খুঁজে বের করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
জঙ্গি দমনে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এ দানবকে নির্মূল করতে অতি কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রয়োজনে আমরা অতি কঠোর অবস্থান নেবো। আমাদের অবশ্যই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্য দানবদের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা যাবে না এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও বন্ধ করা যাবে না। কারণ, জনগণ সবসময় এই দুই দানবের বিরুদ্ধে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে সব সময় সজাগ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে আমাদের জনগণকে সতর্ক করতে হবে এবং সামাজিক এ দুষ্কর্ম মোকাবিলার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলাপর্যায়ে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ অপরাধীদের বিরুদ্ধে মসজিদ থেকে নিয়মিতভাবে বক্তব্য দিতে হবে।
গুলশানের রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু দেশে এখন এ ধরনের হামলা হচ্ছে। এটা এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, জাপান, ভারত ও অন্যান্য দেশে জঙ্গিহামলা সংঘটনের কথা উল্লেখ করেন।