ফুল-মোমবাতি-কান্নায় আজও সিক্ত গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়ক
ফয়সাল খান : গুলশানের হোটেল আর্টিজান রেস্তারাঁয় সন্ত্রাসী হামলার ১১ দিন পার হলেও কাটেনি শোকের ছায়া। ১১ দিন ধরেই ঝরছে অশ্রু। ফুল মোমবাতি আর কান্নায় প্রতিনিয়ত সিক্ত হচ্ছে ৭৯ নাম্বার সড়ক। মায়ের আহাজারি, বাবার নির্বাক চাহনি আর বাচ্চাদের ফুলেল কান্নায় মাঝেমাঝেই ভারী হয়ে উঠছে ঘটনাস্থল। আর্টিজানের আশপাশের বাড়িগুলো শোকে স্তব্ধ। বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ বাড়ির বাইরে পর্যন্ত যান না।
গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ২ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ৭৯ নাম্বার সড়কটির মাথায় ফুল দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক দম্পতি। ৬/৭ বছরের বাচ্চা দুটির ফুল দিয়ে আকাশের দিকে নির্র্বাক চাহনি উপস্থিত সবাইকে মর্মাহত করে। মায়ের কান্না দেখে চোখ মুছতে মুছতেই গাড়িতে উঠে যায় তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রেস্তোরাঁটির আশপাশের সড়কগুলোতে সাধারণ মানুষের চলাচল নেই বললেই চলে। ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের সড়কগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনী গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দূর থেকে তাকিয়েই আবার অন্যদিকে চলে যায় অনেক পথচারী। কয়েকজন রিকশা চালক ও পথচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে এসব রাস্তায় মানুষ ও যান চলাচল কমে গেছে। তেমন দরকার না হলে কেউই এদিকে আসতে চায় না বলে জানান তারা।
নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলতে গুলশান এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৩টি জোন একসঙ্গে কাজ করছে। গতকাল দুপুরে ৭৯ নাম্বার সড়কের মাথায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিপ্লোমেটিক জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, গুলশান এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিপ্লোমেটিক জোন, আর্ম ফোর্স ও ক্রাইম জোন এক সাথে কাজ করছে। এসময় আশপাশের রাস্তাগুলোর মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি দেখা যায়। বিজিবি ও পুলিশ টহলের পাশাপাশি সাঁজোয় যান নিয়েও মহড়া দিতে দেখা গেছে। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি