গুলশানে হামলাকারীদের মধ্যে আ.লীগের স্বজনরা ছিল, দাবি বিএনপির
কিরণ সেখ: গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের মধ্যে দুই-তিন জন কট্টরপন্থী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর স্বজনদের দেখা গেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ফটো জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব. ) আ স ম হান্নান শাহ এ দাবি করেন। জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
‘উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের দাবি’ শীর্ষক এ সভায় তিনি বলেন, নিজেদের (আওয়ামী লীগ) ঘরে কি আছে? অস্বীকার কি করেছেন? কি করে অস্বীকার করবেন? কারণ গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের মধ্যে দুই-তিন জনকে আমি চিনি। তারা (হামলাকারীরা) আওয়ামী লীগের কট্টরপন্থী নেতাদের স্বজনরা। উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদকে আওয়ামী লীগ সমর্থন করে বলেও মন্তব্য করেন হান্নান শাহ।
হান্নান শাহ বলেন, বাংলাদেশ সরকার বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিদেশ থেকে সেনা নিয়ে আসবে। আমার প্রশ্ন, তাহলে কি বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর মধ্যে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী নেই, আছে। আমাদের সেনাবাহিনীতে হাজার হাজার বোমা নিষ্ক্রিয়কারী সদস্য রয়েছেন।
বিদেশ থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী সেনা নিয়ে আসা হলে দেশের জনগণ তা সশস্ত্র মোকাবিলা করবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সময় বোরকা পড়ে কে ‘রেস্তোরাঁয়’ প্রবেশ করেছিল। আমরা কি বুঝতে পারি না, এটা কোনো পরিকল্পনার অংশ ? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাকা বাবুর (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) কথা ছাড়া আর কারও কথা শুনেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। ভারত ও রাশিয়া ছাড়া বর্হিবিশ্বের সকল দেশেই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন হান্নান শাহ। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ভারতের সিকিমের মতো রাজ্যে পরিণত করার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশকে সিকিমের মতো হজম করা যাবে না। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম