রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন শিগগিরই কওমী মাদ্রাসা বন্ধ করা হবে না : অর্থমন্ত্রী
হাসান আরিফ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন কয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। আর কওমী মাদ্রাসা বন্ধ করা হবে না বরং আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়া গুলশান হত্যাকা-ে বিদেশি বিনিয়োগে সামান্যতম নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৩০ মে রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তা ‘পড়ে দেখে’ তারপর প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুহিত। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন করলে জবাবে মন্ত্রী বলেন, দে হ্যাভ ফাইনালাইজ দ্য রিপোর্ট। সে অনুসারে অ্যাকশনও হচ্ছে। ইন এ ফিউ ডেইজ টাইম, আই শ্যাল রিলিজ দ্যা রিপোর্ট।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গুলশান হত্যাকা-ের ফলে বিদেশি বিনিয়োগে সামান্যতম নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে না। তবে কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এ হত্যাকা-কে নৃশংস ও দুঃখজনক আখ্যায়িত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা লজ্জাজনকও বটে। আমাদের সমাজ এদের তৈরি করেছে। এজন্য পিতা-মাতাকে সতর্ক হতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের সম্পর্ক যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটাকে শক্তিশালী করতে হবে।
মুহিত বলেন, সাধারণভাবে বিভিন্ন সময়ে দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোকে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। তবে কওমী মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা মান্ধাতা আমলের, এর সংস্কার করে আধুনিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত। একজন মাদ্রাসার ছাত্র শুধু মাদ্রাসায় থাকবে, ইমাম হবে, আরেকটি মাদ্রাসা গড়বে ইট ইজ নট লাইফ।
গুলশান হত্যাকা- বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বিশেষত পোশাক শিল্পে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের এ ধরনের প্রতিবেদনের প্রতি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সব রাবিশ। আমার মনে হয় না, গুলশান হত্যাকা-ে বিদেশি বিনিয়োগে সামান্যতম নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে। তবে কিছুটা হতেই পারে। এটা তো একটা শক (ধাক্কা)। তবে জাপানিরা এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উদ্বেগ প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তো স্বাভাবিক। তবে একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকাও দেখছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
এ ঘটনায় অর্থমন্ত্রী হিসাবে দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি তার কিছু বলার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্য হচ্ছে, ট্রাজেডি একটা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং পিতা-মাতা হিসাবে সন্তানদের সঙ্গে কীভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি