ক্যামেরনের পদত্যাগ কালযুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন থেরেসা মে
ডেস্ক রিপোর্ট : ব্রেক্সিটের পর পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আগামীকাল দায়িত্ব ছাড়ছেন। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে-ই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। বিডিনিউজ
লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত মার্গারেট থ্যাচারের পর থেরেসা হচ্ছেন দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যে কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা নির্বাচন এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে জ্বালানিমন্ত্রী আন্ড্রে লিডসম গতকাল সোমবার হঠাৎ করেই সরে দাঁড়ানোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম হয় থেরেসা মের।
কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সদস্যের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথাছিল এই দুই নারীর। এ নির্বাচনের ফল প্রকাশের কথাছিল ৯ সেপ্টেম্বরে। কিন্তু তার আগেই গতকাল লিডসম সরে দাঁড়ান।
এর আগে যুক্তরাজ্যে গত ২৩ জুনে অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে দেশটির বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষ জয়ী হওয়ার পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি ইইউয়ে যুক্তরাজ্যের থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন।
অন্যদিকে লিডসম ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে সফল প্রচার চালিয়ে জনগণের কাছে পরিচিতি পান।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে লিডসম বলেন, একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল সরকার পরিচালনার জন্য তার পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন আছে বলে তিনি মনে করেন না।
তার সরে দাঁড়ানোর পর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বক্তব্যে ক্যামেরন বলেন, লিডসম প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজ করেছেন। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন দেখে আমি আনন্দিত।
ক্ষমতা হন্তান্তরে বেশি সময় লাগানোর দরকার নেই জানিয়ে ক্যামেরন বলেন, একারণে মঙ্গলবারই (আজ) তিনি মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক করবেন। তারপর বুধবার (কাল) হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজিরা শেষে রাজপ্রাসাদে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
ফলে এদিন সন্ধ্যায়ই যুক্তরাজ্য নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হওয়া মানে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ভার এমন একজনের হাতে পড়ছে যিনি গণভোটে ইইউ ছাড়ার বিপক্ষে ছিলেন।
এ ব্যাপারে মে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টিই নিশ্চিত করবো।
সোমবার সকালের দিকে বার্মিংহামে এক বক্তব্যে মে বলেন, ইইউ য়ে যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকার প্রশ্নে দ্বিতীয় আর কোনো গণভোট হবে না কিংবা পেছনের দরজা দিয়ে আবার ইইউয়ে যোগ দেওয়ার কোনো প্রচেষ্টাও নেওয়া হবে না। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম