সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন মিলনের (৩২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের বিনেরপোতা ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ বিনেরপোতা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মিলনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
লাবসা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, যুবলীগ নেতা মিলনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিনেরপোতা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। বিনেরপোতা এলাকার ভোটারও তিনি। মিলন মাছের ব্যবসা করতেন।
গোলাম কিবরিয়া বলেন, মিলনকে সোমবার স্থানীয় যুবক জিয়াউর রহমান, আবদুল মান্নান, মিন্টু, মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ ও তামিম আহমেদ তাকে থানা থেকে মুক্ত করে আনেন।
স্থানীয় যুবকদের মারধর ও পুলিশে সোপর্দ করার অপমানের জেরে মিলন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন স্ত্রী শিরিনা বেগম (২৬)। তিনি বলেন, রাতে তারা নিজেদের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ভোর ৫টায় ঘুম ভাঙার পর মিলনকে কড়িকাঠের সঙ্গে রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান তিনি।
এদিকে মারধরের ঘটনায় নিজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘মারধরের সময় আমি ছিলাম না। অন্যরা ছিলেন।’ তিনি জানান, দুটি ছেলেমেয়ে বিনেরপোতা বসুন্ধরা এলাকায় বেড়াতে এলে স্থানীয় কয়েকজন তাদের মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছেলেমেয়ে দুজন এ নিয়ে মিলনের কাছে অভিযোগ জানানোর পর তিনি বসুন্ধরায় এসে মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মান্নান, মিন্টু, মিজানসহ কয়েকজনকে মারধর করেন। তারাও মিলনকে পাল্টা মারধর করে পুলিশে খবর দেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, দুই পক্ষের মারপিটের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিলনসহ জিয়াউর রহমান, আবদুল মান্নান, মিন্টু ও মিজানুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসে। পরে লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যস্থতায় আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরের ঘটনা তিনি আর জানতেন না। সকালে মিলনের আত্মহত্যার খবর জানতে পারেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই হিমেল হোসেন জানান, লাশের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা