কে কে থাকছেন মন্ত্রিসভায় আজই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থেরেসা মে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজ বুধবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন থেরেসা মে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আজ দুপুরে বাকিংহাম প্যালেসে রানীর কাছে পদত্যাগের প্রস্তাব করবেন বলে জানিয়েছেন। আর বিকালেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন থেরেসা মে (৫৯)। তার মন্ত্রিসভায় কে কে থাকছেন ? তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিটের পক্ষে থাকা একজনকে সেক্রেটারি অব স্টেট-এর দায়িত্ব দেবেন। কিন্তু তিনি কে? কেইবা হবেন তার চ্যান্সেলর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী? এসব নিয়ে এখন ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা। তবে তার মন্ত্রিসভায় নারী ও পুরুষ ঠাঁই পাবেন এটা নিশ্চিত। সম্ভাব্য মন্ত্রিসভার একটি খসড়া প্রকাশ করেছে লন্ডনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তাতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের অধীনে অর্থবিষয়ক চ্যান্সেলর হতে পারেন ফিলিপ হ্যামন্ড। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন আমবার রুড বা হেরেমি হান্ট। ফরেন সেক্রেটারি, ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট পেতে পারেন জর্জ অসবর্ন। ব্রেক্সিটের জন্য সেক্রেটারি অব স্টেট দায়িত্ব পেতে পারেন ক্রিস গ্রেইলিং। আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন মাইকেল গোভ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসতে পারেন মাইকেল ফলঅন। ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন সেক্রেটারির দায়িত্ব পেতে পারেন স্টিফেন ক্রাব অথবা জেরেমি হান্ট। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, নারী ও সমতাবিষয়ক দায়িত্ব পেতে পারেন জেন এলিসন অথবা আমবার রুড। হাউস অব কমন্সের নেতার দায়িত্ব পেতে পারেন প্রিতি প্যাটেল অথবা জেরেমি হান্ট। আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন জাস্টিন গ্রিনিং। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন নিকি মরগান। হাউস অব লর্ডসের নেতা হতে পারেন সিল ব্যারেনস স্টোওয়েল। পরিবহন খাত পেতে পারেন প্যাট্রিক ম্যাকলাফলিন। ব্যবসায়, ইনেভেশন ও স্কিলবিষয়ক দায়িত্ব পেতে পারেন সাজিদ জাভিদ। উত্তর আয়ারল্যান্ডবিষয়ক দায়িত্ব পেতে পারেন থেরেসা ভিলিয়ার্স। পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামবিষয়ক দায়িত্বে আসতে পারেন আন্দ্রেয়া লিডসম। কমিউনিটিজ ও স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব পেতে পারেন গ্রেগ ক্লার্ক। ওয়েলসবিষয়ক দায়িত্ব পেতে পারেন আলুন কেয়ার্নস। সংস্কৃতি, মিডিয়া ও খেলাধুলাবিষয়ক দায়িত্বে আসতে পারেন বরিস জনসন। স্কটল্যান্ডবিষয়ক দায়িত্ব পেতে পারেন ডেভিড মান্ডেল। জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দায়িত্ব পেতে পারেন লিজ ট্রাস।
থেরেসা মে এরই মধ্যে বলেছেন, তিনি বেক্সিটবিষয়ক দায়িত্ব দেবেন এমন একজনকে যিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এমন ব্যক্তি হতে পারেন ক্রিস গ্রেইলিং। তবে এমন প্রচারণা চালিয়েছিলেন মাইকেল গোভ ও বরিস জনসন। তাদের যদি বেছে নেওয়া হয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ক্যামেরন তার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে ক্যামেরন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে তার উত্তরসূরি হচ্ছেন বলে আনন্দ প্রকাশ করেন। ক্ষমতা হস্তান্তর দীর্ঘ করার কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ক্যামেরন বলেন, ‘আমি আজ আমার শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে সভাপতিত্ব করবো।’ থেরেসা মেকে দৃঢ় এবং উপযুক্ত উল্লেখ করে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন ক্যামেরন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষাবলম্বনকারী মে ২০০০ সাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত মার্গারেট থ্যাচারের ২৫ বছর পর দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন থেরেসা মে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ