জাকিরকে ক্লিনচিট মহারাষ্ট্র গোয়েন্দাদের?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হজ সেরে দেশে ফিরলেই গ্রেফতার হবেন, এমনই খবর ভাসছে জাকির নায়েককে নিয়ে। অভিযোগ, তিনি উগ্র মৌলবাদ প্রচার করে মুসলিম যুব সম্প্রদায়ের মাথা খাচ্ছেন। তার টিভি ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে নির্বিচারে হত্যালীলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। বাংলাদেশে জাকিরের ‘পিস টিভি’ নিষিদ্ধ করেছে শেখ হাসিনা সরকার। এরই মধ্যে দেশে ফেরার সময় পিছিয়েছেন বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক। কিন্তু, সত্যিই কি তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ হাতে আছে? একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবর, ইউটিউবে জাকিরের শ’য়ে শ’য়ে ভাষণের ভিডিও খতিয়ে দেখেছেন মহারাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্তারা। আজকাল
দেশের অন্য রাজ্য থেকে তার বিরুদ্ধে আনা তথ্যসাবুদও পরখ করেছেন। তাতে নাকি এমন কিছু পাওয়া যায়নি, যাতে মুম্বাইয়ের ৫১ বছরের এই ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা ছাড়া আর কোনো মামলা দায়ের হতে পারে। এমনকি ওই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগও তার ভাষণের নিরিখে ঠিক খাটে না! তাই আপাতত তার গতিবিধির উপর নজরদারি করা ছাড়া কার্যত কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র গোয়েন্দা দফতরের এক শীর্ষ কর্তা। বর্তমানে সৌদিতে আছেন জাকির। সেখান থেকে যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে মুম্বাই ফিরবেন। ঢাকার দুই জঙ্গি রোহন ইবনে ইমতিয়াজ এবং মুবাশ্বের আহমেদ তার ভাষণ শুনে ‘উদ্ধুদ্ধ’ হয়েই জেহাদের পথ বেছে নেয়। সেই খবর প্রকাশ্যে আসায় নড়েচড়ে বসেছে মোদি সরকার। জানিয়েছে, মৌলবাদী নেতার ভাষণ আপত্তিকর মনে হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ