হাসনাত করিমের জব্দ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন
সুজন কৈরী : গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনাস্থল হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁ থেকে পাওয়া হাসনাত করিমের ড্রাইভিং লাইসেন্সকে কেন্দ্র করে সন্দেহ ও সংশয় দানা বেঁধে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছেÑ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের লাইসেন্সটি ওখানে রয়ে গেল কীভাবে। এর মধ্যে কি কোনো নাটকীয়তা আছে, না কি বিষয়টি স্রেফ কাকতালীয়। এ ছাড়াও পুলিশ যে লাল রঙের একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ ২০-২৯৪৭) জব্দ করেছে সেটিও হাসনাত করিমের কি নাÑ এ প্রশ্নও উঠেছে।
এ বিষয়ে হাসনাতের বাবা রেজাউল করিম বলেন, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসনাত ও তার পরিবারের সদস্যরাও ছিল। ওই সময় হাসনাতের সঙ্গে তার কথা হয়। হাসনাত তাকে বলেছে, হামলার সময় জঙ্গিরা তার পরিচয় জানতে চেয়ে তার পরিচয়পত্র দেখতে চায়। কিন্তু হাসনাতের কাছে পরিচয়পত্র ছিল না। তার কাছে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্সটি জঙ্গিদের দেখায়। এরপর জঙ্গিরা তার লাইসেন্সটি নিয়ে নেয়।
গাড়ির বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, হাসনাত বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ডিরেক্টর। কোম্পানি থেকে দেওয়া একটি লাল প্রাইভেট কারে হাসনাত ওই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিল। তবে গাড়িটির নম্বর জানাতে পারেননি তিনি। ওই গাড়িটিই পুলিশ জব্দ করেছে কি না সে বিষয়েও তিনি জানেন না বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, হাসনাতের বিষয়ে জানতে চেয়ে আইজিপি এবং পুলিশ কমিশনারের কাছে দুবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। এছাড়া কোম্পানির উকিল রয়েছে, যারা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বসেন। তাদের মাধ্যমেও প্রতিদিন খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে সন্ধান পাইনি।
গত ১ জুলাই রাতে ওই রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিনই আবুল হাসনাত রেজা করিম তার স্ত্রী শারমিন পারভীন ও সন্তানদের নিয়ে একটি লাল রঙের প্রাইভেট কার নিয়ে ওই রেস্টুরেন্ট খাবার খেতে যান। পুলিশের ভাষ্য, হাসনাত করিম ও তার পরিবারকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে কিছু না পাওয়া গেলেও হাসনাতের ড্রাইভিং লাইসেন্স রেস্টুরেন্টের ভেতরে পাওয়া যায়। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী