দেশের সবকটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে : মেনন
বিশেষ প্রতিনিধি : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাই না আমাদের সামগ্রিক সুনাম নষ্ট হোক। এভিয়েশনের সিকিউরিটির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় সিভিল এভিয়েশন অথরিটির (সিএএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি ওসমানী ও শাহ আমানত বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। শুধু বিদেশি যাত্রী নয়, দেশি যাত্রীদের জীবনও আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন কার্গো চলাচলের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বলেন, ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেড লাইন শুরুতেই লন্ডন ফ্লাইট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এখন আমাদের লোকজন সফলভাবে লন্ডন ফ্লাইট অপারেট করছে। অস্ট্রেলিয়া কার্গো ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে জার্মান কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই কার্গো ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। জার্মান প্রতিনিধি দল শাহজালালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এরপরও এসব নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়।
তিনি বলেন, যে বহিঃশক্তি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিল, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় তারা কিছুটা সফল হয়েছে। সেই বহিঃশক্তি কারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যাদের দেশে সবসময় খুন-হত্যা-সন্ত্রাস চলছে তারা। তারা এখন আমাদের দেশে এসে নাক গলাচ্ছে।
তিনি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনায় আমরা ব্যাকফুটে আছি। বর্তমান পরিস্থিতি জাতীয় জীবনে বড় ধরনের দুর্যোগ। আমাদের আশেপাশের খোঁজ খবর রাখতে হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা বাড়াতে হবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম