প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ
মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, রংপুর : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক সুমনা আক্তার লিলিকে (২৭) শ্লীলতাহানি ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠেছে এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গার ছোট ভাই মহিউল আহম্মেদ মহির (৫০) বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন হাড়িভাঙ্গা আমের আড়তে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিলি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোতয়ালী থানায় মামলা করেছেন। লিলি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে ও ঢাকা ইডেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে লিলি তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে আড়তে আম কিনতে যান। এসময় এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গার ছোটভাই ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির রংপুর জেলার সভাপতি মহিউল আহম্মেদ মহি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে মহি রাস্তার সাইড নেয়ার জন্য তার মোটরসাইকেলের হর্ন দিলে তা আম কিনতে আসা লিলি ও বকশীর কর্ণপাত না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মহি। এসময় বকশী নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে হর্ন না শোনার বিষয়টি মহির কাছে স্বীকার করেন। এতে মহি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বকশীকে গালিগালাজ করে এলাপাতাথারী মারধর শুরু করেন।
পরে লিলি এগিয়ে গিয়ে তার রাজনৈতিক পরিচয় দিলে মহি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং লিলিকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এদিকে ঘটনাটি স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা কোতয়ালী থানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিতে থাকেন এবং অবিলম্বে মহিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল আতাউর রহমান থানায় গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শান্ত করেন।এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লিলি বাদী হয়ে মহিকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানা পুলিশের ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।