মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ও মোকলেছুর রহমান, সিলেট : চট্টগ্রাম ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে সাইফুল্লাহ ওরফে শহীদ, শহীদউল্লাহ শহীদ ও মাকু রবি দাস নামে তিন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
চট্টগ্রামে সিএনজি অটোরিকশা চালক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় দুই ছিনতাইকারীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে দড়িতে ঝুলিয়ে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন, মিরসরাই উপজেলার উত্তর হাজীসরাই গ্রামের লেদু মিয়ার বাড়ির কামাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে শহীদ এবং একই উপজেলার মধ্যম সোনাপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে শহীদুল্লাহ ওরফে শহীদ। ফাঁসি কার্যকরের পর দুজনের মরদেহ রাতেই গ্রামের বাড়ি মিরসরাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয় বলে জানাগেছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মনিরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনসহ পুলিশ, সরকারি উর্ধ্বতণ কর্মকর্তারা উপস্থিতিতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সাইফুল ও শহীদুল্লাহর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তিনি জানান, তাদের ফাঁসি কার্যকরে অংশ নেন পাঁচ জল্লাদ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২০ মে ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়ন এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রেজাউল করিম ওরফে আজিজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মিয়াধন বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ শহীদুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম ও মীর হোসেন নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় শহীদুল্লাহ ও সাইফুল।
অপরদিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে মাকু রবিদাস (৪৭) নামে এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে একই দিন রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ রাজু। তার সঙ্গে ছিলেন আরো ৫ জন জল্লাদ। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাসুদ পারভেজ মঈন জানান, ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও কারা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরও ৫ জন স্বজন শেষবারের মতো দেখা করেন।
ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত মাকু রবিদাস হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দারাগাওয়ের সমাধনী রবি দাসের ছেলে। ২০০১ সালের ৩১ অক্টোবর রাতে প্রতিবেশী নাইনকা রবিদাসকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মাকু রবিদাস।