
দলপ্রধানের পদে নির্বাচনের অনুমতি পেলেন করবিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবার দল প্রধান হিসেবে আরও একবার নির্বাচনের অনুমতি পেয়েছেন জেরেমি করবিন। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি (এনইসি) তাকে এ অনুমতি দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তে দলে ফাটল ধরার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এনইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সরাসরি দলীয় প্রধান হিসেবে নতুন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন করবিন। তার প্রতিপক্ষ বলছে, তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে ৫১ জন পার্লামেন্ট সদস্য অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। কিন্তু এনইসি সে দাবিকে উপেক্ষা করেন সিদ্ধান্ত দিয়েছে করবিনের পক্ষে। এ সিদ্ধান্ত পেয়ে করবিন বেশ উৎফুল্ল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী, সাবেক ছায়ামন্ত্রী অ্যানজেলা ঈগল তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, তিনিই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। ওদিকে জেরেমি করবিন দলের মনোনয়ন পাবেন কিনা তা নিয়ে বেশ কয়েক ঘন্টা বৈঠক হয়। তারপর এনইসি গোপন ভোটের আয়োজন করে। এতে ১৮-১৪ ভোটে অনুমোদন পান করবিন। গার্ডিয়ান
লেবার দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পার্লামেন্টারি লেবার পার্টি (পিএলপি) ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি লেবার পার্টির (ইপিএলপি) অনুমোদন প্রয়োজন হবে না করবিনের জন্য। সরাসরি ব্যালট পেপারে তার নাম থাকবে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনইসি। তবে অন্য প্রার্থীদের পিএলপি এবং ইপিএলপির শতকরা ২০ ভাগের অনুমোদন প্রয়োজন হবে নেতৃত্বের লড়াইয়ে আসতে। নেতা নির্বাচনে শুধু তারাই ভোট দিতে পারবেন যারা ১২ই জানুয়ারি বা তার পূর্বে দলে যোগ দিয়েছেন। এর পরে যারা যোগ দিয়েছেন তাদেরকে একজন ‘রেজিস্ট্রারড সাপোর্টার’ হতে হলে অতিরিক্ত ২৫ পাউন্ড দিতে হবে। ওদিকে এনইসির সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর জেরেমি করবিন সাংবাদিক ও সমর্থকদের বলেছেন, আমি ব্যালটে আছি। যেসব বিষয় ম্যাটার করে তার সবকিছুতেই আমরা প্রচারণা চালাবো। আমাদের দেশে রয়েছে অসমতা। রয়েছে দারিদ্র্য। জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাকে বেসরকারিকরণ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সারাদেশে যুব সমাজকে দিতে হবে আশা ও সুযোগ। এগুলোই আমাদের দলকে শক্তিশালী করবে। এবং ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ সরকারকে পরাজিত করতে হলে আমাদেরকে সেটাই করতে হবে। দেশে এমন একটি সরকার আনতে হবে যারা মানুষের বিষয়ে ভাবে। তিনি আরও বলেন, লেবার দলের এমপিরা অবশ্যই বুঝবেন যে, দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এখন থেকে ১০ মাস আগে আমি ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলাম। ওই সময় মানুষ আমাকে যে ম্যান্ডেট দিয়েছিল তার প্রতি আমি সম্মান জানাই। তাই দায়িত্ব বহন করছি।
জেরেমি করবিনকে এনইসি মনোনয়ন দেয়ার পর তার ঘনিষ্ঠজন ছায়া চ্যান্সেলর জন ম্যাকডোনেল টুইটারে বলেছেন, জেরেমি ব্যালটে আছেন। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ক্লিভ লুইস বলেছেন, তিনি করবিনকে সমর্থন দেবেন। তবে লেবার দলের যোগাযোগ বিষয়ক সাবেক পরিচালক ল্যান্স প্রাইস সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, এনইসির এমন সিদ্ধান্তে দলে ভাঙন ধরার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি এটা বলবো না যে, এটা লেবার দলের কফিনে শেষ পেরেক। তবে এটা বলা যায় আমরা আগামীকে অন্ধকারময় কঠিন দিনে প্রবেশ করছি। ওদিকে বিবিরিস রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেছেন, এনইসির ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে লেবার দলই আদালতে যেতে পারে। এরই মধ্যে বাণিজ্য বিষয়ক সাবেক ছায়ামন্ত্রী অ্যানলেজা ঈগল ৫১ জন এমপির সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন। তিনি জেরেমি করবিনের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন কয়েক দিন ধরে।
