আবারও সংকটে নেপালের ক্ষমতাসীন জোট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাওবাদীরা সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ায় ক্ষমতায় আসার মাত্র নয় মাস পর আবারো সঙ্কটে পড়েছে কে পি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন নেপালের জোট সরকার। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গত মে মাসে করা নয় দফা চুক্তি বাস্তবায়নে অলির দল আন্তরিক নয়, এই অভিযোগ তুলে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (মাওইস্ট সেন্টার) চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দহল প্রচ- মঙ্গলবার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (সমন্বিত মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন। বিডিনিউজ
মাওবাদীরা সমর্থন তুলে নেয়ায় পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন জোটের আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী অলি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন, না ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করতে অন্য কোনো সাংবিধানিক পথ বের করার চেষ্টা করবেন- সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি বলে জানানো হয়েছে কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে। নেপালের পার্লামেন্টে ৫৭৫টি আসনে জনপ্রতিনিধিরা আসেন সরাসরি ভোটে, সরকার চালাতে সংবিধান অনুযায়ী ২৯৯টি আসন প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অলির দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) আসন ১৭৫টি। অন্যদিকে ৮০টি আসনে আছেন মাওবাদীরা।গত বছরের অক্টোবরে তারা অলির জোট সরকারে যোগ দেন। মাওবাদীরা বলছে, নেপালে শান্তি ফেরার আগে দীর্ঘ এক দশকের মাওবাদী লড়াইয়ের সময় যেসব মামলা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে চুক্তি হয়েছিল সরকারের সঙ্গে। কিন্তু অলি সরকার সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না। লড়াইয়ের সময়ের ঘটনার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার শর্তও তারা পূরণ করেনি। ওই নয় দফা চুক্তি নিয়ে অলির সরকার ছাড়ার হুমকি দুই মাস আগেই দিয়েছিল মাওবাদীরা।
তাদের নেতা প্রচ- সেই হুমকিকে চূড়ান্ত রূপ দিয়ে মঙ্গলবার বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থ, সেহেতু এই সরকারে তাদের থাকা আর সমীচীন নয়।
এর বদলে নতুন সংবিধান বাস্তবায়নে মাওবাদী নেতা ‘একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার’ গঠনের ওপর জোর দিচ্ছেন বলে নেপাল ও ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর।