আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পর থেকে এখনও বিক্ষুব্ধ জম্মু-কাশ্মির। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। কাশ্মিরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাশ্মির স্ক্যান জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিক্ষুব্ধ জনতা ক্রালপুরা কুপওয়ারা থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হন। অপর ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর ফলে বুরহান ওয়ানির ‘এনকাউন্টার’এর পর থেকে চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। কাশ্মির স্ক্যান
নিরাপত্তাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। এর মধ্যে দুই শতাধিক আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, ৪৫০ জনেরও বেশি পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের বেশ কয়েকজন চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। প্যালেটের আঘাতে অন্তত ১৯ জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। শতাধিক আহতের চোখে সার্জারি করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। চলমান বিক্ষোভে রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ওষুধ ও খাদ্যের সংকট শুরু হয়েছে। এই সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সেনা ও পুলিশ যৌথ অভিযানে বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল যোদ্ধা নিহত হন। হিজবুল কমান্ডার নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রীনগর এবং দক্ষিণ কাশ্মিরের বেশ কিছু এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় তার বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলাকালে বুরহান নিহত হন বলে দাবি করে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের আংশিক অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে কারফিউর আওতায় আসে আশে-পাশের আরও বেশকিছু অঞ্চল।