স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ড-যাত্রা বিলম্ব হচ্ছে ভিসার কারণে। হয়তো আজই পেয়ে যাবেন। তার আগে মুস্তাফিজ দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে আইপিএল স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। সঙ্গে এও জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতে বসে খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হতো। কিন্তু ইংল্যান্ডে গেলে সেটা হবে না। খেলার বাইরে আমি খুব একটা বের হতাম না। দলের সবাই খুব মজা করতো। কখনোই আমি পার্টিতে যাইনি। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সিরিয়াল দেখতাম। ওগুলোই ভালো লাগতো। মুস্তাফিজ বলেন, কোহলির বিপক্ষে বল করতেই বেশি ভালো লাগতো বলে জানান তিনি, কোহলি খুব ভালো ব্যাটসম্যান। তার বিরুদ্ধে বল করতে বেশি ভালো লাগতো। ফাইনালে আমার বলে একটি ছয় মেরেছিলেন। বাউন্ডারি হতেই পারে। আমি তো আর মেশিন নই। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। চার ওভারে ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলাম। দিনটা আমারই ছিল। যা চেয়েছি তাই করতে পেরেছিলাম। রাসেলকে ইয়র্কারে আউট করা উইকেটটি আমার কাছে প্রিয়।
আইপিএলে এবার মুস্তাফিজ তুলনামূলক জোরে বল করেছেন। তবে সেটা নাকি নিজের অজান্তেই, তিনি বরেন, আসলে আমি খেয়ালই করিনি। আমি মনে করি একজন বোলার ১৩৫ (কি.মি) এর আশপাশে বল করতে পারলেই হয়। সেই চেষ্টাই করেছি। আইপিএলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে ছিলেন কাটার মাস্টার। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ভ্রমণ। সঙ্গত কারণে তার ওজন কমে যায়। খুব কম সময়ের ব্যবধানে এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে হতো। ভারতীয় খাবার বেশি খেতে পারতাম না। কারণ আমাদের খাবারের থেকে ভারতীয় খাবারের স্বাদ বেশ আলাদা। বাড়িতে আমি তাজা খাবার খাই। মা বিশেষভাবে রান্না করেন। এভাবেই তো বেড়ে উঠেছি। হোটেলের খাবারে খুব একটা অভ্যস্ত নই। এমনকি ঢাকায় থাকলেও বাইরে কম খেতে যাই। মাত্র দুটি হোটেলের খাবার আমার পছন্দ। মিরপুরের হোটেল প্রিন্স থেকে ইলিশ, বেগুণ আলু খাই। অথবা ‘কুকারস সেভেন’র ভূনা খিচুড়ি। ইংল্যান্ডে গেলে মনে হয় খাওয়ার সময় পড়তে হবে না। কারণ ওখানে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারে আছে। কেউ না কেউ হোটেলে খাবার দিয়ে যাবেন।
ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা গেলে বরাবরই এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। যারা হোটেলে খেতে চান না তাদের জন্য বাংলাদেশিরা বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসেন। মুস্তাফিজ যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে যান, তখনও অনেক বাংলাদেশি নাকি তাদের খাবার সরবরাহ করতেন। এবারও সেই আশায় কাটার মাস্টার।