‘আল্লাহ নেমে এসে বললেও বিশ্বাস করিনা বাবুল মিতুকে হত্যা করেছে’
মাসুদ আলম : আল্লাহ নেমে এসে বললেও বিশ্বাস করিনা বাবুল আমার মেয়ে মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করেছে। আল্লাহর উপর সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ যদি বিচার করেন! তিনি আক্ষেপ নিয়ে আরও বলেন, বড় বড় মানুষদের মারলেই বিচার হয় না। আমার মেয়েতো কিছুই না। তার প্রশ্ন- কেন পুলিশ (রাশেদ ও নরুন্নবী) দুইজনকে ক্রসফায়ারে দিলো। এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মেরাদিয়া নিজ বাসায় আবেগ আপ্লুত হয়ে মিতুর মা সাহিদা আক্তার প্রতিবেদকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুন্দরভাবে চলছিল বাবুল ও মিতুর সংসার। বাবুল আক্তার খুব ভাল ছেলে। সে মিতুকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না। আমার দুটি মেয়ের জামাই ভাল। আমার কোনো ছেলে নেই। তারাই আমার ছেলে। বাবুল বেতন পেয়ে মিতুর হাতে দিতো। তা দিয়ে মিতু সংসার চালাত। ১৪ বছর সংসার জীবনে মিতু পাঁচ দিনও আমার বাড়িতে থাকেনি। তাদের মধ্যে কখনও ঝগড়া হতে শুনেনি। অথচ একটি মহল বলছে বাবুল নাকি মিতুকে লোক দিয়ে হত্যা করিয়েছে। এটা আমি বিশ্বাস করিনা।
সাহিদা আক্তার আরও বলেন, জানিনা মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারবো কিনা। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। মিতু হত্যার এতোদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি দেখছিনা। পুলিশ কেন দুইজনকে ক্রসফায়ারে দিল। তাদের আইনের মুখোমুখি করলো না।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন বলেন, বাবুল আক্তার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেনা। তারা তাদের মতো তদন্ত করছেন। আশা করি অতি দ্রুত মিতু হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন মিতু।
বাবুল চাকরি ছেড়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মোশারফ বলেন, বাবুল চাকরি ছাড়েনি। সে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত আছে। এখনও তাকে কোনো জায়গায় দেওয়া হয়নি। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি