তারেক রহমানের সঙ্গে চাইলেই কেউ যোগাযোগ করতে পারে না
এটা সাজানো ও পরিকল্পিত
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কেউ চাইলেই যোগাযোগ করতে পারেন না এবং তার সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের বাংলাদেশ প্রধান তামিম চৌধুরী নামে কারও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র। ওই সূত্র জানায়, ব্লিটজ পত্রিকায় তারেক-তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর প্রকাশ করা হয়েছে গত মাসে। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, এই ধরনের একটি গল্প যারা তৈরি করেছেন তারা বেশ ভালো গল্পকার। নাহলে এমন একটি নাটকীয় গল্প তৈরি করতে পারতেন না। গল্প তৈরি করাতে তাদের নিয়মিত অভ্যাসও রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ওই গোয়েন্দা সংস্থা যদি তারেক রহমানের লেখা চিঠি পেয়ে থাকে তবে তা প্রকাশ করা হোক।
তারেক রহমানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন এমন ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কোনো খুনির যোগাযোগ নেই। যোগাযোগ নেই কোনো আইএসের সমর্থক কিংবা সদস্যের। বাংলাদেশে সম্প্রতি দুটি জঙ্গি হামলার পর এখন বিষয়টি নিয়ে বেশ মুখরোচক আলোচনা হচ্ছে। এমন হলে তো ওই ব্যক্তিকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে তার সঙ্গে তারেক রহমানের যোগাযোগ আছে কিনা।
তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় তারেক রহমানের কাছে আইএসের একজন নেতা চিঠি লিখবেন এটা দুনিয়া উল্টে গেলেও সম্ভব নয়। আবার তারেক রহমান চিঠি লিখবেন সেটা মনে করারও কোনো কারণ নেই। কারণ তারেক রহমান লন্ডনে নিজে কোনো ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ব্যবহার করেন না। মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। ওই ফোন ব্যবহার করে তিনি ওই ধরনের চিঠি লিখবেন সেটা অবিশ্বাস্য। আবার অন্য কাউকে দিয়ে লেখাবেন সেটাও অকল্পনীয়। এছাড়াও এটা বলা প্রয়োজন তারেক রহমানের কাছে একটা চিঠি আসবে আর সেটা পৌঁছে যাবে এত সহজ নয়। এটাও সাজানো নাটক। কারণ তারেক রহমান এই ধরনের কোনো যোগাযোগ রাখেন না। তার সঙ্গে চাইলেই যে কেউ দেখা করতে পারেন না।
ওই সূত্র জানায়, তারেক রহমান কোনোদিনই হিন্দুদের মালাউন বলে অভিহিত করেন না। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিএনপি সরকার সব সময় এই সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। এছাড়াও তারেক রহমান এখন ভারতের বিজেপির সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তিনি মালাউন বলেছেন হিন্দুদের এটা কোনোভাবেই ঠিক না। এই ধরনের খবর প্রকাশ বিএনপির প্রতি ভারতের আক্রোশ বাড়ানো ও সম্পর্ক নষ্ট করার একটা চেষ্টা হতে পারে। কিন্তু তারেক রহমান কোনোদিন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক খারাপ হোক সেটা চান না। দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছেন। আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো পরিকল্পনা তারেক রহমানের নেই। তবে তিনি এই সরকারকে বাধ্য করতে চান একটি সুষ্ঠুু ও অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার জন্য। আর সেটা আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমেই করতে চাইছেন। সরকার সেটা করতে না চাইলে জনগণকে সঙ্গে দিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করাতে চান।
তিনি আরও বলেন, আইএসকে বিএনপি কোনো দিন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিবে না। সেখানে আইএসের নেতা কিংবা সমর্থকের সঙ্গে তার যোগাযোগ রাখা ও চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নাটকীয় ও সাজানো গল্প। গল্পটিকে বিশ্বাসযোগ্য করার প্রাণান্তকর চেষ্টায় গল্পকার চিঠির প্যারা ও শব্দ নম্বরও উল্লেখ করেছেন। যাতে সবাই বিশ্বাস করে। তামিম-তারেক সঙ্গে তামান্না নামে আর তারেক রহমান কনিকা নামে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন সেটাও কল্পকাহিনী। তারেক রহমানের মতো একজন মানুষ লন্ডনের মতো জায়গায় বসে নারীর নাম ব্যবহার করে আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন সেটা কি কোনোদিন যুক্তরাজ্য সরকার মেনে নেবে? যুক্তরাজ্য সরকার কেন কোনো সরকারই আইএসের সঙ্গে যোগাযোগর কোনো বিষয় মেনে নেবে না। ঘটনা সত্য হলে এতদিন যুক্তরাজ্য সরকারই তারেক রহমানের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিত। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি