মমিনুল ইসলাম : যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন কনজার্ভেটিভ দলের নেতা টেরেসা মে (৫৯)। কিন্তু এ দৌঁড়ে তাকে পরাজিত করেছিল দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। এতে তার প্রতি অত্যন্ত রাগান্বিত হয়েছিলেন টেরেসা। বুধবার এ স্মৃতিচারণ করেছেন টেরেসার এক পুরনো বান্ধবী প্যাট ফ্রাঙ্কল্যান্ড। ডেইলি মেইল
টেরেসা ও ফ্রাঙ্কল্যান্ড অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। টেরেসা ও তার স্মামী ফিলিপকে অক্সফোর্ড থেকে চেনেন ফ্রাঙ্কল্যান্ড।
তিনি জানান, ১৯৭৪ সালে একদিন তারা তৎকালীন সদ্য নির্বাচিত টরি নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় টেরেসা বলেছিলেন, কিশোরী বয়সেই ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করতে চাই।
ফ্রাঙ্কল্যান্ড বলেন, টেরেসা যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন। কিন্তু সে হতে চেয়েছিল প্রথম।
তিনি স্মরণ করে বলেন, টেরেসা তাকে বলেছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যুক্তরাজ্যের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিল সে। কিন্তু মার্গারেট থ্যাচার ওই দৌড়ে তাকে পরাজিত করে। আর এ ঘটনায় সে মার্গারেটের প্রতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়।
টেরেসা বলেছিলেন, ‘আমি প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মার্গারেট প্রথম হয়ে গেল। আমি তার সঙ্গে কলেজের দ্বিতীয় দিনে প্রথম সাক্ষাৎ করি। এসময় তার বয়স ছিল ৩৯ আর আমার ১৮। অনেক আগে থেকেই আমি এ আকাক্সক্ষার প্রতি সচেতন ছিলাম।’
এর এক বছর পর মার্গারেট ১৯৭৫ সালে রক্ষণশীল টরি দলের নেতা নির্বাচিত হন। অত:পর ১৯৭৯ সালে ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। দায়িত্ব পালন করেন টানা ১১ বছর (১৯৭৯-১৯৯০)।
টেরেসার স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় অক্সফোর্ডে। বিয়ে করেন ১৯৮০ সালে। গতকাল বুধবার স্ত্রীর সঙ্গে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করেন স্বামী ফিলিপ। টেরেসা ছয় বছর টরি দলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ