নিরাপত্তা সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণে বাপবিবো চেয়ারম্যান-এর আহ্বান
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাস্থ গুলশান এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সংঘটিত নাশকতামূলক ঘটনায় উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমূহের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কচও), মুল্যবান যন্ত্রপাতি, মালামাল, যানবাহন ও কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি ও সজাগ/সতর্কতা বিষয়ে গত ১১-০৭-২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বাপবিবোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারগণ উপস্থিত ছিলেন। বাপবিবো চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রতিরোধ/প্রতিকারকল্পে দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনামূলক “ওহংঃরঃঁঃরড়হধষ ওহংঃৎঁপঃরড়হ” –(এতদসংগে সংযুক্ত) যথাযথভাবে প্রতিপালনের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবোর্ড) এবং বোর্ড এর নিয়ন্ত্রণাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সমূহ দেশের অতি মূল্যবান জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান (কবু চড়রহঃ ওহংঃধষষধঃরড়হ), সুতরাং যে কোন অবস্থা ও পরিস্থিতিতে এর সর্বাত্মক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের পারিবারিক ও জাতীয় জীবনে শুদ্ধাচার, ধর্মীয়/নৈতিক অনুশাসন ও সামাজিক মূল্যবোধসহ বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়াদির প্রাত্যহিক চর্চা এবং ক্রমাগত পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ/ নজরদারীর মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ সুষ্ঠু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ গঠন/চলমান রাখার জন্য তাগিদ প্রদান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তিনি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সহ বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারগণকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে অরাজকতার বিষয়ে সদা সচেতন থেকে সময়মত সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
এ ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিধানকল্পে সিসিটিভি ক্যামেরা, আর্চওয়ে গেট স্থাপন, মেটাল ডিটেক্টর, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ ও এর ব্যবহারবিধি অনুশীলন সহ যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা অবলম্বণের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতাধীন ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ২৫ হাজার গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের নিমিত্ত সার্বিক যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাপবিবোর্ড ও পবিস সমূহের ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত মসজিদে আগন্তক/নবাগত মুছুল্লীদের কথাবার্তা ও আচরণের উপর নজরদারী রাখা আবশ্যক। এ ছাড়া, সাপ্তাহিক জুম্মার নামাজের সময় খোতবা পাঠ ও অন্যান্য সময় ও দিনের নামাজের পরে বয়ানের সময় ইমাম সাহেবগণ ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, – ইসলাম কোন প্রকার সন্ত্রাস/অরাজকতা/উচ্ছৃঙ্খলতা বরদাশ্ত করে না উহা বিশেষ গুরুত্বের সাথে মুছুল্লীদের জানানোর জন্য তিনি ইমাম সাহেবগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।
বাপবিবোর্ড ও পবিস সদর দপ্তর সহ সকল ক্যাম্পাস/ কমপ্লেক্সে অতিথি, আগন্তক ও সম্মানিত গ্রাহক সদস্যগণ সহ সকল বহিরাগত ব্যক্তিদের চলাফেরার প্রতি সতর্ক নজরদারি রাখা, কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের খোঁজ খবর নেয়া, তাদের আয়-ব্যয় মনিটর করা, অযৌক্তিক অর্থ প্রাপ্তি এবং সন্তান-সন্ততিগণের মাদকাসক্তি বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রতি তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জানমাল এবং সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন কবু চড়রহঃ ওহংঃধষষধঃরড়হ(কচও) সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার উদ্দেশ্যে কোন প্রকার অনাকাঙ্খিত/অবাঞ্চিত ঘটনার পূর্বাভাস পাওয়া মাত্র তা জেলা প্রশাসক, পুলিশ কর্তৃপক্ষ, র্যাব সহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত রাখা, তাদের সাহায্য গ্রহণ করতঃ বিষয়টি বাপবিবোর্ড এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করার জন্য সভায় চেয়ারম্যান মহোদয় নির্দেশ প্রদান