পিস টিভির দর্শকদের জন্য বিকল্প ভাবছে সরকার
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : পিস টিভির সব ধরনের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তাই এই টিভির দর্শকদের জন্য সরকার বিকল্প চিন্তাভাবনা করছেন। সরকারি ও বেসরকারি টিভিতে ইসলামিক অনুষ্ঠান বাড়ানোর পাশাপাশি ইমাম, আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করেও এই ব্যাপারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে একজন মন্ত্রী বলেন, পিস টিভি বন্ধ না করে কোনো উপায় ছিলো না। কিছুসংখ্যক দর্শক থাকতে পারেন যারা ওই টিভি দেখতেন। সেটা বন্ধ করার পর এখন তাদের সাময়িকভাবে সমস্যাও হতে পারে। সেই বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি। আর কিভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করা যায় সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইসলামিক টিভি নামে একটি টেলিভিশন ছিল। ওই টেলিভিশনের মালিকানায় ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ এস্কান্দার, তার স্ত্রী নাসরীন এস্কান্দার প্রমুখ। ওই টিভি গত মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার বন্ধ করে দেয়। দিগন্ত টিভি নামে মীর কাসেম আলীর মালিকানাধীন আরও একটি টিভি ছিল। ওই টিভিও গত সরকারের আমলে মতিঝিলে হেফাজতের ঘটনার তথ্য ভুল ভাবে প্রচার করায় ও উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনে বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর সরকার নতুন করে কোনো ইসলামিক চ্যানেল করার জন্য কাউকে লাইসেন্স দেয়নি। নতুন করে সরকার ইসলামিক কোনো টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কিনা জানতে চাইলে ওই মন্ত্রী বলেন, এই রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনও প্রধানমন্ত্রী নেননি। তিনি নিলে এই ধরনের চ্যানেল চালু হতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা মনে করছি মুসলমানদের সবারই তার ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে জানা দরকার। সঠিক ব্যাখ্যাও যাতে পান সেটাও নিশ্চিত করা দরকার। সঠিক ব্যাখ্যা পেলে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে যারা জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে তারাও ভুল পথে যাবে না। কেউ গেলে ফিরে আসবে। বিটিভিতে ইসলামিক অনুষ্ঠান রয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশনগুলোও ইসলামিক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। ওই সব অনুষ্ঠান আরও বাড়ানো যায় কিনা সেটাও বিবেচনা করে দেখা হবে। বিশেষ করে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা যায় কিনা সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম