প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা পিস টিভি বন্ধ ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত
শাহানুজ্জামান টিটু : জঙ্গি ইস্যুতে সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রচারিত পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ এবং এর আগে ইসলামিক টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির র্শীষ নেতারা। তারা মনে করেন ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করাটা ঠিক না। তারা বলেন, বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা ঠিক হয়নি। এর ফলে ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হবে বা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে না পারার কারণে এবং জাকির নায়েকের আলাদা কোনো সংগঠন না থাকায় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তবে ধর্মপ্রাণ মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভেতরে ভেতরে ঘৃণা প্রকাশ করছে ঠিকই।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাকির নায়েকের মালিকানাধীন পিস টিভির সম্প্রচার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। তিনি বলেন, পিস টেলিভিশনের মাধ্যমে জাকির নায়েক যে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বা উগ্রবাদ উস্কে দিয়ে উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য দিয়েছেন এটা আমার জানা নেই। তিনি যেসব কথা বলেছেন তা সবই কুরআন, বাইবেল, গীতা বেদসহ বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তিনি মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন। আমি জানি না সরকার কি কারণে এটা করেছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কষ্ট পাবে এবং মানুষ ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জানার যে সুযোগ ছিল তা থেকে বঞ্চিত হবে। এটাকে দেশের মানুষ ভালো চোখে দেখবে না।
অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পিস টিভি বন্ধে ধর্মপ্রাণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে এটা নিশ্চিত। কিন্তু এর বহি:প্রকাশ আমরা দেখবো না। কারণ জাকির নায়েকের আলাদা কোনো সংগঠন নেই। তিনি কেবল ইসলাম ধর্মের কথা বলেন তা নয়, তিনি সকল ধর্মের বিষয়ে গবেষণামূলক বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নয়, অন্য ধর্ম নিয়েও কথা বলছেন। কিন্তু তার ওই বক্তব্যের মধ্যে জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদ নিয়ে কথা বলেন না। যেহেতু আলাদা কোনো সংগঠন নেই- তাই পিস টিভি বন্ধের কারণে ধর্মপ্রাণ মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তে ঘৃণা প্রকাশ করছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি