তাহমিদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছে কানাডা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর পুলিশ হেফাজতে থাকা তাহমিদের খোঁজখবর রাখছে কানাডা। তাহমিদের ভাইয়ের বরাত দিয়ে তার একজন আইনজীবী এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘনিষ্ঠ বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে টরেস্টোর দ্য স্টার পত্রিকাও বলছে, তাহমিদের ব্যাপারে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কানাডা সরকারের যোগাযোগ হয়েছে। এদিকে কানাডার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ‘টরোন্টো স্টার’ জানিয়েছে, তাহমিদের অবস্থা জানতে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কানাডা।
এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে সহায়তা চায় তাহমিদের পরিবার।
গ্লোব অ্যান্ড মেইল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডা সরকারের এই তৎপরতা তাহমিদের পরিবারে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। তাহমিদের আইনজীবী গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে বলেছেন, ‘তাহমিদের ভাই তালহা খান বলেছেন যে কানাডা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশ সরকারও বিষয়টি দেখছে জেনে তারা খুবই স্বস্তিবোধ করছেন।’
এদিকে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইমেইলে গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে জানিয়েছে, তাহমিদের ঘটনার ওপর অটোয়া এবং ঢাকার কানাডিয়ান দূতাবাস নজর রাখছে।
এর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর পুলিশ হেফাজতে থাকা তাহমিদকে খুঁজে পেতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সহায়তা প্রার্থনা করে তার পরিবার। ঘটনার ১২ দিনের মাথায় তারা এ সহায়তা চায়। দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পুলিশ বলছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ তাকে ছাড়েনি এবং কোথায় আছে তাও জানাচ্ছে না। ২২ বছরের তাহমিদ কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা ও টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ১ জুলাইয়ের পর থেকে তাকে নিয়ে ছোট ছোট কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা।
তাহমিদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়কমন্ত্রী স্টেফানে ডিওনের কাছেও চিঠি পাঠায় তাহমিদের পরিবার। তাহমিদ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট মেরিক গার্টলারও একই মন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখেন।
গত কয়েকদিন ‘ফ্রি তাহমিদ’ নামে একটি ফেসবুক পেজে তাকে নিয়ে বাংলাদেশের পত্রিকায় হওয়া প্রতিবেদন শেয়ার দেওয়া থেকে শুরু করে তার নানা ছবি দিয়ে তাকে মুক্ত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এখানে তাহমিদকে একজন পশুপ্রেমী হিসেবে হাজির করে পোষা প্রাণির সঙ্গে তার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। তার সহপাঠীরা জানতে চান, তাহমিদ এখন কোথায়।
সিবিসি কানাডিয়ান নিউজ তাহমিদের ভাই তালহার বরাত দিয়ে বলেছে, আমরা জানি না তাকে সাক্ষী হিসেবে নাকি সন্দেহভাজন হিসেবে আটক রাখা হয়েছে। সে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল দাবি করে তালহা বলেছেন, তাহমিদের সারা জীবনের কোনো কর্মকা-ই উগ্রপন্থার বলে চিহ্নিত করা যাবে না। তালহা এও জানিয়েছেন, তার বাবা বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ