গাছের আড়ালে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচে জাপানি ওতানাবের
আজাদ হোসেন সুমন : ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার সময় গাছের আড়ালে আত্মগোপন করে জাপানি নাগরিক তামকি ওতানাবে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তিনি জাপানের ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের (জাইকা) একজন কর্মী। হামলায় প্রাণে বাঁচলেও ছিটকে আসা গুলিতে আহত হন ওতানাবে। জাপানের টোকিও হাসপাতালে শুয়ে জাপান সরকারের করা তদন্ত কমিটিকে তিনি সেই রাতের বিবরণ দিয়েছেন, যা জাপানের সংবাদমাধ্যমে এসেছে। জাপান টাইমস লিখেছে, ওতানাবেসহ আট জাপানি নাগরিক ১ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। ওই আটজনের মধ্যে কেবল ওতানাবেই বেঁচে ফিরতে পেরেছেন। জাপানের জাতীয় পুলিশ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওতানাবে বলেন, খেতে বসার পরপরই হঠাৎ গুলির শব্দে তিনি উঠে দৌড় দেন। সঙ্গে থাকা বন্ধুরাও ততক্ষণে ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছেন। হামলাকারীরা তখন এলোপাতাড়ি গুলি করছিল।
ওই অবস্থার মধ্যে ওতানাবে বেকারি ভবনের বাইরে বেরিয়ে কম্পাউন্ডের ভেতরে গাছের আড়ালে গিয়ে লুকান। এরপর সঙ্গে থাকা জাপানি বন্ধুদের আর কাউকে তিনি দেখতে পাননি। রেস্তোরাঁর বাগানে রুদ্ধশ্বাস ১২ ঘণ্টা কাটানোর পর ২ জুলাই ভোরে ওতানাবেসহ মোট ১৩ জন জিম্মিকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। গুলিবিদ্ধ ওতানাবে ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যান জাপানে। ৫ জুলাই জাপান সরকার তাকে টোকিও হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জাপান টাইমস লিখেছে, বুধবার তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলার সময় ওতানাবেকে শান্ত দেখাচ্ছিল। এ সময় তিনি বলেন, বেঁচে ফেরার কথা সে সময় তিনি ভাবতে পারেননি। চারদিকে গুলির শব্দ আর চিৎকারে তার কেবলই মনে হচ্ছিল, এই বুঝি সন্ত্রাসীরা ধরে ফেলবে। শেষাবধি গাছের আড়ালে লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন তিনি। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি