২০ দলীয় জোটের ব্যানারে নয় উগ্র ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্য হবে বিএনপির প্লাট ফর্ম থেকে
শাহানুজ্জামান টিটু : উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যে ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে নয় বরং বিএনপির প্লাটফর্ম থেকে হবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দলটির নীতি-নির্ধারকরা। তাই এই ইস্যুতে বিএনপি একক কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে দুই জোটের বাইরে থাকা বিশেষ করে সরকারের বিরুদ্ধে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন খালেদা জিয়া। কিভাবে এই ঐক্য হবে তা নিয়ে বিএনপি প্রধান ইতোমধ্যে মতবিনিময় করেছেন ২০ দলীয় জোটের শরিকদলগুলোর সঙ্গে। এছাড়া দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন খালেদা জিয়া। আগামীতে তিনি দেশের আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনার পর উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিএনপি তাদের অবস্থান তুলে ধরে কর্মসূচি ঘোষণা করবে। এমনকি এসব বৈঠকে জামায়াতের প্রসঙ্গে তারা কী মতামত দেন এসব নিয়ে খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত নেবেন। দলটির একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।
বিএনপির ঘরানার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে খালেদা জিয়া মতবিনিময় করেন এর বাইরে থাকা আর কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটা সঠিক নয়। বিএনপি ঘরানার বাইরেও যারা আছেন তাদের সবাইকে তো খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে ডেকেছেন। তিনি বলেছেন, এখন কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে ক্ষমতায় যাবে এটা বড় বিষয় নয় জাতীয় স্বার্থে এখন সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গয়েশ্বর বলেন, ম্যাডাম বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে বসছেন। এরপর সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসবেন। দেশের আলেম-ওলামাদের মতামত নেবেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কী করণীয়। ফলে এটা ঠিক না বিএনপি তাদের ঘরানার বাইরে কাউকে ডাকে না। বরং ডাকা হয় কিন্তু সরকারের প্রেসারের কারণে প্রকাশ্যে আমাদের ডাকে সাড়া দিতে পারেন না। কিন্তু তারা তাদের মতামত ভিন্নভাবে জানান।
২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম ও আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সঙ্গেও বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে যাননি নেতারা। তবে কর্মসূচির বিষয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় কনভেনশন, জেলা ও মহানগরে সমাবেশ ও মানববন্ধনের মতো কর্মসূচির বিষয়ে খসড়া একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাজনৈতিক দলসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে। এছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে উন্নত দেশগুলোর মতো স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয় নিয়েও খালেদা জিয়া কাজ করছেন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম