সন্তানের প্রতি কি আপনি মনোযোগী?
জুলফিয়া ইসলাম
আপনার সন্তানের মানসিক শান্তি বজায় রাখতে চাইলে তার মনটা সব সময় হালকা রাখবেন। তাকে সব সময় দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রেখে হাসি-খুশি রাখার জন্য চেষ্টা করবেন। কারণ, আপনার সন্তান যদি মানসিকভাবে দুর্বল থাকে, তবে কোনো কাজে সে মনোযোগী হতে পারবে না। সে যদি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পায়, তবে সে যাতে হতাশ হয়ে না পড়ে সে ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে। এ অবস্থায় আপনার সন্তান মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে। তার মনে নানা ধরনের দুশ্চিন্তা এসে ভর করতে পারে। এ সময় আপনার করণীয় কাজ হলো সন্তানকে তিরষ্কার না করে উৎসাহিত করা। তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। যেমনÑ
১. সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করা। এতে করে সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। তাই সময় নষ্ট না করে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে হবে।
২. সব সময় লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না। তাই সব সময় তাদেরকে পাঠ্য বই পড়তে না দিয়ে মেধাভিত্তিক বইয়ের প্রতিও মনোযোগী করে গড়ে তোলা উচিত। এতে তার জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে এবং মানসিক প্রশান্তিও আসবে।
৩. মাঝে মধ্যে তাদেরকে দর্শনীয় স্থানগুলোতে নিয়ে যাওয়া উচিত। মনে প্রফুল্লতা এবং লেখাপড়ায় উদ্যমী হতে ভ্রমণ করা জরুরি।
৪. চিত্তবিনোদনের জন্য টিভিতে যদি কোনো ভালো অনুষ্ঠান থাকে তা দেখতে দেওয়া উচিত। তবে চিত্তবিনোদনের জন্য অধিক সময় ব্যয়িত হলে জীবনের মূল লক্ষ্য ব্যহত হবে।
৫. সন্তানের যদি খেলাধূলা কিংবা গান-বাজনা করার দিকে ঝোঁক থেকে থাকে, তবে তাকে সেই চর্চাও করতে দেওয়া উচিত। এতে লেখাপড়ার প্রতি একঘেয়েমী ভাব দূর হবে। যদি খেলাধূলার অভ্যাস নাও থেকে থাকে তবে মাঝে মধ্যে মাঠে বেড়াতে যেতে দেওয়া উচিত।
৬. আড্ডা দেওয়া একটি সহজাত প্রবৃত্তি। আপনার সন্তানের যদি আড্ডা দেওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে, তবে দেখতে হবে সে কোন ধরনের বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করছে। অনেক সময় আড্ডায় পড়ে সন্তানেরা বিপথে যেতে পারে। আবার আড্ডায় অনেক সময় শিক্ষণীয় বিষয়গুলোও আলাপ আলোচনা হয়ে থাকে। তাই এ ব্যাপারে অভিভাবকদের একটু সতর্ক থাকা ভালো।
লেখক : কথাসাহিত্যিক
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন