নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় বন্যা ও বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গনে একটি ইউনিয়নের সবকিছু বিলীন হয়ে গেছে। উপাজেলার তিস্তা বেষ্টিত টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি কিন্ডার গার্ডেন বিদ্যালয়, ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১টি সীমান্ত রক্ষী বিজিবি ক্যাম্প, ১টি বাজার, ১০টি গ্রামের প্রায় ৫শ’ পরিবারের বসত ভিটাসহ রাস্তাঘাট পুল-কালভার্ট আবাদি জমি বন্যা ও ভাঙ্গনের কবলে পরে বিলীন হয়ে গেছে।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আবার হঠাৎ পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসায় ভয়াবহ ভাঙ্গনের দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও এলাকার মানুষ সেচ্ছাশ্রমে বালির বস্তা, বাঁশ ও গাছের পাইলিং করেও ভাঙ্গনের কবলে পরা শিক্ষা প্রতিষ্টান, ক্লিনিক, বাজার, বিজিবি ক্যাম্প রক্ষা করতে পারেনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাচ্ছুম শাহ বলেন, আমি বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি, সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন, স্কুলল, ক্লিনিক, বাজারসহ ক্ষতিগ্রস্ত সকল প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট পুল-কার্লভাটের তালিকা তৈরী করতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিনকে বলা হয়েছে। তালিকা হাতে পেলেই প্রয়োজনীও পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর তা প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, আমি সরকারী সফরে শ্রীলঙ্কায় আছি। তবে সার্বক্ষনিক বন্যা কবলিত এলাকার খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি সার্বক্ষনিক। ইতিমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা পাঠানোর জন্য উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা ও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত সকল কিছুর তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা পৌঁছানোর পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।