আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাদকের ছোবলে নীল হয়ে গেছে রবিঠাকুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মাদকের সংজ্ঞাও সেখানে বদলে গেছে। বিড়ি-সিগারেট ছাড়িয়ে তরল বা ইনজেকশন মাদকের নেশার সঙ্গে মানুষ অভ্যস্ত হয়েছে অনেক আগেই। কালক্রমে হেরোইন, ব্রাউন সুগার এমনকি ডেনড্রাইটের নেশাও করতে শুরু করেছে। গ্রাম বাংলায় দেশি মদের দোসর হিসেবে হাড়িয়ার চল আছে। কিন্তু, তরল দ্রব্যের নেশার বস্তু হিসেবে অ্যাসিড! অবিশ্বাস্য হলেও এই কাজটিই করে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। কলকাতা২৪
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে কান পাতলে শোনা যায় অ্যাসিডের মাধ্যমে নেশার কাহিনী। এমডিএমএ নামক একটি রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে নেশা করছে বিশ্বকবির প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এই এমডিএমএ রাসায়নিক বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় অ্যাসিড হিসেবে। এই রাসায়নিক সেবন করলে তা সরাসরি আঘাত করে মস্তিষ্কে। যার ফলে ঘণ্টা খানেকের জন্য ঝিমিয়ে থাকে মানুষ। এই নেশাতেই বুঁদ হয়ে রয়েছে শান্তিনিকেতনের একশ্রেণির ছাত্রছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই নেশাগ্রস্থদের কেউই বাঙালি নয়। সকলেই উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আগত পড়ুয়া। আসাম, মণিপুর, মেঘালয় বা নাগাল্যান্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা এই এমডিএমএ রাসায়নিকের সাহায্যে নেশা করে থাকে।
চিকিৎসকদের মতে এই এমডিএমএ রাসায়নিক দিয়ে নেশার প্রভাব মারাত্মক। প্রথমেই ঘুম উড়ে যায় এই মাদকে আসক্ত ব্যক্তিদের। এরই সঙ্গে বিরক্তি, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা এবং খিদে কমে যায়। শুধু তাই নয়, নতুন উদ্যমে আনন্দ এবং যৌন শক্তিও কমিয়ে দেয় এই এমডিএমএ।