আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন টেরিসা মে-এর নেতৃত্বাধীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর পাওয়ার পর তাকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যেঁ মাহ কেহু। বিবিসি
জ্যেঁ মাহ কেহু বলেছেন, ‘ইউরোপ ওয়ান বেতারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়া প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটের সময় বরিস জনগণকে মিথ্যে বলেছিলেন,। তার মতে জনসন ব্রিটেনকে রক্ষা করতে গিয়ে চাপে পড়বেন। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র দফতরের জন্য ব্রিটেনের আরও বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধি প্রয়োজন যার উপর আস্থা রাখা যায়।’ উল্লেখ্য, ইউরোপের রাজধানী ব্রাসেলস ও তার ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সদস্যরা মনে করে বরিসের সুবিধাবাদী, অহংকারী আস্ফালনের কারণে ইউরোপের সাথে ব্রিটেনের বিপর্যয়মূলক বিচ্ছেদ হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মর্কেল ব্রিটেনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন। তবে জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান রালফ স্টেজনার বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে বরিস জনসনকে নির্বাচনের পর টেরিসা মে’কে অপেক্ষাকৃত দুর্বল মনে হচ্ছে। গ্রিন পার্টির কো-লিডার সাইমন পিটার বলেছেন, ‘বরিসকে দায়িত্ব দিয়ে টেরিসা মে দুধের পাহারায় বিড়াল বসিয়েছেন।’ সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পাওয়ার পরই প্রশ্ন উঠেছে ব্রেক্সিটের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেওয়া বরিস কি আদৌ ব্রিটেনের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারবেন, যেখানে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে তার নিজের সম্পর্কই খারাপ?
বিশ্লেষকরা বলছেন, বরিস জনসনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এক ধরনের রসিকতাই বটে! সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ