কক্সবাজারের ১৯ যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ আগস্ট
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন ধার্য করেন। এর আগে আদেশ অনুসারে এ মামলার পলাতক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত। এ সময় ট্রাইব্যুনাল উক্ত পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক আইনজীবী নিয়োগ দেন এবং মামলার অভিযোগ শুনানির জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন। এ মামলার মোট আসামি ২১ জনের মধ্যে ২ জন মারা যান। তবে এখনও এই মামলায় কারাগারে আছেন ৫ আসামি। যাদের মধ্যে ১ আসামি জামিনে আছেন। আর এখনও পলাতক আছেন ১৪ আসামি। উল্লেখ্য, গত ২২ মে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ১৬ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের মধ্যে কক্সবাজারের ছালামতউল্লাহ খান (৮০) ও রশিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এই মামলায় মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের বাসিন্দা মৌলভী নুরুল ইসলাম (৭৫), মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা মুহুরী ডেইলের বাসিন্দা জিন্নাত আলী (৭৮) এবং ঘরকঘাটা মৌলভী ওসমান গনিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মহেশখালী দ্বীপে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ সকল আসামি স্থানীয় শান্তি কমিটির সভাপতি মৌলভী জাকারিয়ার ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রশিদ মিয়ার সহযোগী ছিলেন। তবে ওই এলাকায় এখনও ৭০ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জন বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মৌলভী জকরিয়া শিকদার (৭৮), মো. রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মোলভী নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মোলভী আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী আব্দুল মজিদ (৮৫), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গণি (৬১), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মোলভী সামসুদ্দোহা (৮২), মো. জাকারিয়া (৫৮), মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮), মোলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে মোট ঘটনা ১৩টি। এর মধ্যে হত্যার ৯৪টি, নারী নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ব্যাপক। মামলায় মোট ১২৬ জন সাক্ষী রয়েছে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা