খুতবার আগে বাংলা বয়ান হয় না তাবলীগ মসজিদে
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীর কাকরাইল জামে মসজিদে (তাবলীগ জামায়াতের মার্কাজ মসজিদ) অন্যান্য মসজিদের মতো জুমার খুতবার আগে কোনো বাংলা বয়ান হয় না। দিনভর তাবলীগে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মুসল্লিদের বয়ান শোনানোর কারণে এ মসজিদে কোনো বাংলা বয়ান হয় না বলে মার্কাজ মসজিদ সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল জুমার নামাজের আগে কাকরাইল মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত মুসল্লিদের ভিড়ে ঠাঁসা। মসজিদ প্রাঙ্গণে একটু দূরে দূরে ল্যাগেজ, কাপড়ের বস্তা, থালা-বাসনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বসে আছেন কেউ কেউ। এ অবস্থা মসজিদজুড়েই। বাইরে থেকে আসা মুসল্লিরা সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য বসে থাকা মুসল্লিদের অনুরোধ করে সরিয়ে দিয়ে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। একজন মুসল্লি হাতে জুতা নিয়ে রাখার জায়গা খুঁজছিলেন, এসময় তাবলীগ জামায়াতের একজন লোক তার কাছে জানতে চাইলেন কোন হালকায় আছেন আপনি ? ওই ভদ্রলোক অবাক হয়ে বলেন, ভাই নামাজ পড়তে এসেছি। কোন হালকা পাতলায় আছি জানি না। অবশ্য মসজিদের ফ্যানগুলোতে হালকা ১০১ থেকে পর্যায়ক্রমে ৩০০ পর্যন্ত নম্বর দেওয়া আছে। মুসল্লিরা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলীগে আসা দলকে একেকটি ‘হালকা’ বলা হয়। আর নির্দিষ্ট ফ্যানের নিচে তারা অবস্থান করে থাকেন।
জুমার নামাজ শেষ হতেই মুয়াজ্জিন মাইকে ঘোষণা দিলেন, ‘ইনশাআল্লাহ বাকি নামাজ বাদ ইমান-আমল সম্পর্কে বয়ান হবে আমরা সবাই বসি’। এরপর সবাই বাকি নামাজ আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাবলীগ জামায়াতের একজন মুসল্লি জানান, মার্কাজ মসজিদে দিনভর বয়ান হয়। আর এ কারণে জুমার নামাজের আগে আলাদা কোনো বয়ান হয় না। তবে নামাজ পরবর্তী বয়ানে মুসল্লিরা অংশ নেবেন। অবশ্য বাইরের কোনো মুসল্লি নয়, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মুসল্লিরা অংশ নেবেন এই বয়ানে।
এদিকে মসজিদের বাইরে শাহবাগ থানার এসআই সাত্তারের নেতৃত্বে একটি পুলিশের দলকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি র্যাব-৩ এর একটি টহল গাড়িও ছিল রাস্তার ওপারে। এছাড়াও মানুষের নিরাপত্তায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাতো রয়েছেনই। এসআই সাত্তার জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় তাদের এখানে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরেক দল আসবে ডিউটিতে। দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এ নিরাপত্তাব্যবস্থা বলে জানান তিনি। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম