নজরদারিতে ছিল সরাদাদেশের সব মসজিদ
মাসুদ আলম : রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় ও জেলাসমূহের মসজিদগুলোতে খুৎবায় জঙ্গিবাদবিরোধী আলোচনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের দিন সকাল থেকেই এই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। রাজধানীর কেন্দ্রীয় মসজিদসহ কমপক্ষে অর্ধশত মসজিদে সন্দেহজনক মুসল্লিদেরও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হয়। মসজিদগুলোর আশপাশের এলাকায় মোতায়েন ছিল পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের চার পাশে ছিল অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন। মসজিদের প্রবেশের উত্তর ও দক্ষিণ গেট দিয়ে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। প্রত্যেক মুসল্লিকে এসময় তল্লাশি করা হয় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে। প্রবেশদ্বারে বসানো ছিল আর্চওয়ে। নিñিদ্র এমন নিরাপত্তা পেয়ে অধিকাংশ মুসল্লিই ছিল খুশি। অন্যান্য দিনের তুলনায় মুসল্লিদের সংখ্যা কম থাকলেও নিশ্চিন্তে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এছাড়া হাইকোর্ট মসজিদেরও ছিল একই অবস্থা। বায়তুল মোকাররমে আসা রফিক নামে এক মুসল্লি বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদ এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা দেখা গেছে। এতে করে নিশ্চিত মন নিয়ে আল্লার দরবারে নামাজ আদায় করেছি। যেভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি হামলা হচ্ছে তাতে আমরা শঙ্কিত নই। বড় বড় মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা থাকলে আমাদের জন্য ভাল। এতে ভয়ের কিছুই নেই।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, দেশের মসজিদগুলোতে শুক্রবার ছিল জঙ্গি বিরোধী আলোচনা। তাই রাজধানীর জাতীয় মসজিদসহ বড় বড় মসজিদগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। যাতে করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি